মে মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
Published : 08 Mar 2025, 07:14 PM
গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিতরণে শহর ও গ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরের একটি খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, গরমের মাত্রা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর নির্ভর করবে লোডশেডিং পরিস্থিতি।
গ্রীষ্মকাল সামনে রেখে সরকার এলএনজি আমদানি বৃদ্ধি, ট্রান্সফরমার মেরামত ও বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নয়নে কাজ করছে তুলে ধরে তিনি বলেন, “গরমের মাত্রা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি নির্ধারিত হবে। বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে।
“বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে হবে। এয়ার কন্ডিশনার ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার উপরে রাখা উচিত, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহায়ক হবে।”
মে মাসের মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’
আগামী মে মাসের মধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ হবে বলে আশা করেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
খালের পানি যাতে দূষিত না হয়, সে বিষয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টা দরকার মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “আগামী মে মাসের মধ্যে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি শেষ হবে না হয়তো, তবে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে।”
খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আগে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে, সেখানে ‘অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে’।
“দুর্নীতি দমন কমিশন এসব বিষয় দেখবে। আমাদের কাজ হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সংস্থাকে সহযোগিতা করা।”
অতীতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি তুলে ধরে ফাওজুল কবির বলেন, “প্রথমে দৃশ্যমান উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। সফলতা প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় অর্থায়নে কোনো সমস্যা হবে না।”
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “জনগণের স্বার্থে যেখানে নালা আছে, সেখানে যদি কেউ বিল্ডিং নির্মাণ করে থাকে, তা অপসারণ করতে হবে। আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করছি এবং করব।”
মহানগরের দক্ষিণ আগ্রাবাদে আবিদার পাড়া ঠাণ্ডা মিয়া ব্রিজ, ডাইল ব্রিজ ও নয় নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন মহেশ খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সিডিএ এর খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ।