গণআন্দোলনের কারণে ধীরগতি ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে; বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
Published : 07 Aug 2024, 10:41 PM
গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য খালাসে ধীরগতি এসেছিল চট্টগ্রাম বন্দরে, একদিন পর বুধবার সেই কার্যক্রম স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরেছে।
বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, কোটা সংস্কার থেকে সরকারপতনের গণআন্দোলনের কারণে ধীরগতি ছিল বন্দরের কার্যক্রমে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আগেভাগেই অফিস ত্যাগ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। তবে বুধবার দুপুর থেকে কার্যক্রম আগের গতিতে ফিরেছে।
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে পণ্যভর্তি ২ হাজার ২৩৮ কন্টেইনার (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) খালাস নিয়েছেন আমদানিকারকরা। এ সময়ে ২ হাজার ৯৫৮ টিইউএস রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে।
বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় পণ্য খালাস হয়েছে ২ হাজার ৩৪৯ টিইউএস কন্টেইনার। বন্দরের ইয়ার্ডে খালাসের অপেক্ষায় আছে ৪২ হাজার ৬৩৮ টিইউএস কন্টেইনার।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কয়েকদিন আমদানি পণ্য খালাস কিছুটা কম ছিল। বুধবার থেকে তা বেড়েছে।
গণআন্দোলনে সোমবার দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে গত কয়েকদিনে বন্দর থেকে কন্টেইনারবাহী পণ্য খালাসে ধীরগতি আসে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পণ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থেকে আমদানিকারকরা পণ্য খালাস কমিয়ে দেন।
মঙ্গলবারও নিরাপত্তাজনিত কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে পণ্য খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। এদিন আগেভাগেই অফিস ত্যাগ করেন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার নাজিউর রহমান বলেন, “চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও পণ্য খালাস কার্যক্রম কমে এসেছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় (বুধবার) সকাল থেকে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে।”