সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গেইটে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
Published : 24 Apr 2024, 06:22 PM
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার নগরীর জিইসি মোড় থেকে বাসচালক তাজুল ইসলামকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী।
তাজুলের বাড়ি রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে।
ওসি চন্দন চক্রবর্ত্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গিয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে জিইসি মোড় থেকে তাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়া নগর সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরেক শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন।
দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি ৪৪ বছরের পুরানো
চট্টগ্রাম-চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান রুটের ‘শাহ আমানত পরিবহনের’ যে বাসের সঙ্গে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, সেটি ৪৪ বছরের পুরানো বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা বিআরটিএর কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চট্টমেট্রো ব-০৫-০২২৭ নম্বরের বাসটি ১৯৮০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন করা। গত ফেব্রুয়ারিতে বাসটির ফিটনেস মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তার পরে আর নবায়নের আবেদন করা হয়নি।
তৃতীয় দিনের মত অবরোধ
এদিকে দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার তৃতীয় দিনেও বিক্ষোভ করেছেন চুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গেইটে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সঙ্গে চুয়েট কর্তৃপক্ষ, পরিবহন মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে নিহতদের পাঁচ লাখ করে ও আহত শিক্ষার্থীকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।
পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
চুয়েটের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চুয়েটে কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। সংকট নিরসনে বিকালে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দেয়া দাবিগুলোর বেশকিছু মেনে নেয়ায় মঙ্গলবার রাতে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সকাল ১০টার দিকে একটি পক্ষ গেইটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে।”