Published : 03 May 2025, 01:00 PM
চট্টগ্রামের প্রাইভেটকারে গুলি চালিয়ে করে দুইজনকে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান ওরফে হাসান জোড়া খুনের ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পর হাসান আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
হাসানকে চট্টগ্রাম এনে শনিবার ভোরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পশ্চিম শহীদ নগর তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুইটি ম্যাগাজিন, দুটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
ওসি ইখতিয়ার বলেন, “আমাদের ধারণা, উদ্ধার করা পিস্তলটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে সেভেন পয়েন্ট ৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তলের গুলির খোসা পাওয়া গিয়েছিল। ধারণা করছি, ওই খোসাটি হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তলের গুলির খোসা হতে পারে।”
এ জন্য পিস্তল ও খোসাটির ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে বলে জানান ওসি।
ওসি বলেন, “মামলায় ১ নম্বর আসামি সাজ্জাদ ও ২ নম্বর আসামি তার স্ত্রী তামান্নাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছিল। আর ৩ নম্বরে ছিল হাসানের নাম। হাসান এ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।”
গত ৩০ মার্চ ভোর রাতে নগরীর চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় ধাওয়া করে প্রাইভেটকার থামিয়ে দুই জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও দুই জন।
নিহতরা হলেন- বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৬ এর মধ্যে। আহতরা হলেন- রবিন ও হৃদয়।
হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাতজনের নাম দিয়ে নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহত বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম।
তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে থাকা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর 'পরিকল্পনায়' খুনের ওই ঘটনা ঘটে।
মামলায় সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নার পাশাপাশি মো. হাসান, মোবারক হোসেন ইমন, রায়হান ও বোরহানসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নগরীর চান্দগাঁও খাজা রোড ও ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলাল ও মানিক নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদকেও পুলিশ এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল গভীর রাতে নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে মো. সজীব (২৯) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সজীব বলেছেন, তিনটি মোটর সাইকেলে করে তারা ৭ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন। দুইটি মোটর সাইকেলে দুই জন করে এবং একটিতে তিন জন ছিলেন।
চট্টগ্রামে জোড়া খুনে ছিলেন ৭ জন, গ্রেপ্তারের পর একজনের জবানবন্দি
চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় ছোট সাজ্জাদ গ্রেপ্তার, অন্য মামলায় র
'ছোট সাজ্জাদ ও স্ত্রীর পরিকল্পনায়' গাড়িতে জোড়া খুন: নিহতের মা