২০২১ সালের ২৮ অগাস্ট ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে।
Published : 07 Apr 2025, 09:17 PM
চট্টগ্রামে সাড়ে তিন বছর আগে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সাইদুর রহমান গাজী এ আদেশ দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- ফারুক সরদার (৩৮) ও শামসুল হক (৫০)। এদের মধ্যে আসামি ফারুক রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শামসুল পলাতক।
ট্রাইব্যুনালের পিপি হায়দার মোহাম্মদ সোলাইমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আদেশে আদালত দুই আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
“রায়ের পর আসামি ফারুককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক শামসুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।”
দণ্ডিতদের মধ্যে ফারুক সরদারের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়ালগঞ্জ উপজেলায় আর শামসুল হকের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। তারা চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৬) মা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আর কিশোরীর বাবা ঢাকায় থাকতেন। কিশোরীটি তার মায়ের সাথে নগরীর চান্দগাঁও থানার একটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত।
২০২১ সালের ২৮ অগাস্ট সকালে ওই কিশোরীর মা কর্মস্থলে গেলে দুপুরে ফারুক কিশোরীকে টাকা এবং যা চায় তাই কিনে প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
পরে ওই বাসায় প্রথমে ফারুক ও পরে শামসুল তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার মা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ওই কিশোরী জানায়, তাকে ফারুক ও শামসুল ধর্ষণ করেছেন।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় ফারুক সরদার ও শামসুল হককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
২০২২ সালের ২২ মার্চ পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে সোমবার আদালত এই রায় দেয়।