গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নগর ছাত্রদলের সাবেক এক সহ-সভাপতি রয়েছেন।
Published : 15 Jun 2023, 05:24 PM
চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ চলার সময় জামাল খান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরে জড়িত অভিযোগে ২৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নওশাদ আল জাসেদুর রহমান রয়েছেন।
ম্যুরাল ভাংচুরের ঘটনায় কোতোয়ালি থানা একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম কলেজ গেইটে ছাত্রলীগকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদলকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
বুধবার কাজীর দেওড়িতে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হয়, যেখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ওই সমাবেশমুখী একটি মিছিল চট্টগ্রাম কলেজের ফটক অতিক্রমের সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বেধেছিল। সমাবেশমুখী ওই মিছিল থেকে পরে জামাল খানে ডা. খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয়ের দেয়ালে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে।
এই ঘটনার পরপরই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। দুদিনে মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মাহতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বুধবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নওশাদকে গ্রেপ্তার করে।
ভোররাতে নগরীর এনায়েত বাজার গোয়ালপাড়া এলাকা থেকে নওশাদের দেখানো মতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা মাহতাব।
নওশাদের বিরুদ্ধে নগরীর চান্দগাঁও থানায় ১৬টি নাশকতার মামলা আছে বলে পুলিশ জানায়।
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘ম্যুরাল’ ভাংচুর
অতিরিক্ত কমিশনার মাহতাব জানান, ভাংচুরের পরপরই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কোতোয়ালি থানা পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর রাতে চান্দগাঁও এলাকা থেকে নওশাদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
চান্দগাঁও থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার মাহতাব। বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয় চকবাজার, বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে।
নওশাদ ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- ১৮ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. মাহবুব সিদ্দিকী, ১৮ নম্ববর ওয়ার্ড ৪ নম্বর ইউনিট ছাত্রদলের সভাপতি মো. এরফান, যুবদলকর্মী নুরুল ইসলাম ওরফে মাসুম, মহিউদ্দিন হাসান ইমন, চান্দগাঁও থানা যুবদলকর্মী মো. ইমন খান, আকরাম হোসেন আকিব, আবু সিদ্দিক রুবেল, জাহেদ গিয়াস, মো. আল আমিন, মো. ইকবাল, মো. মানিক, জয়নাল আবেদীন, মো. সবুজ, মো. সাহেদ, নুরুল হক, মো. রিয়াদ, মঈন উদ্দিন, আশিক আহমেদ নয়ন, মো. জুয়েল ও মো. বশির।
এদের মধ্যে মাহবুব, এরফান, মাসুম, মহিউদ্দিন হাসান ইমন ও ইমন খানকে ঘটনার পরপর অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেছে। চট্টগ্রাম কলেজ গেইটে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলাটি করেছেন শাফায়েত হোসেন রাজু নামে এক যুবক।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোখলেসুর রহমান জানান, চকবাজার থানার মামলায় আসামির তালিকায় ৬০ জনের এবং কোতোয়ালি থানার মামলায় ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
দুটি মামলায় আরও দুই থেকে আড়াইশ জন করে অজ্ঞাতনামা আসামি হয়েছে।