টেকনাফে দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Published : 20 Aug 2024, 11:15 PM
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন জিইসি মোড়ের আবাসিক এলাকা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব ১৫ এর জ্যেষ্ঠ এএসপি মো জামিউল হক বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফে দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরকার পতনের পর গত ১৮ অগাস্ট এ মামলা হয়। মোঃ আব্দুল্লাহ নামে একজন বাদী হয়ে বদিকে ১ নম্বর আসামি করে এ মামলা করেন।
টেকনাফ থানায় করা মামলায় বদিসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেনে, "এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।"
ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগসহ দীর্ঘদিন ধরে নানা ঘটনায় আলোচনায় আসা দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য বদি সরকার পতনের পর থেকে প্রকাশ্যে ছিলেন না।
২০০২ সাল থেকে টেকনাফ পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা বদি ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা এক তালিকায় বদি এবং তার ভাই-বেয়াই, মামা-ভাগ্নে মিলিয়ে পরিবারের ১০ জনের নাম আসে।
২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বদির বেয়াই আক্তার কামাল, যিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের দুটি এবং মাদক পাচারের তিনটি মামলা ছিল।
মাদকের কারবারে বার বার নাম আসায় সমালোচনার মধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বদির বদলে তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি ওই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় সাজা হলে জেলেও যেতে হয়েছিল টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান বদিকে। পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান।
মাদক কারবার: বদির ভাইদের 'সংশ্লিষ্টতা' পেয়েছে সিআইডি
ইয়াবার বিরুদ্ধে লড়ব: বদিকে পাশে রেখে বললেন স্ত্রী
বদির ভাইদের কথাও ‘বলে গেছেন বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সাইফুল
নিহত ‘ইয়াবা কারবারিদের’ মধ্যে এমপি বদির বেয়াই