পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কোচের মতে, তারা নিজেরাই নিজেদের অসম্মান করছেন।
Published : 01 Feb 2023, 09:31 PM
পাকিস্তান ক্রিকেটে মিকি আর্থারকে ফেরাতে জোর চেষ্টা চলছে বলে খবর। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত একদমই পছন্দ নয় মিসবাহ-উল-হকের। দলটির সাবেক অধিনায়ক ও কোচের মতে, আর্থারকে ফিরিয়ে আনলে তা পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য হবে অপমানের সামিল।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আর্থারকে পূনরায় কোচ হিসেবে ফিরিয়ে আনতে চাওয়ার কথা বলেন নাজাম শেঠি। ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন আর্থার।
পিসিবির আর্থারকে ফেরানোর প্রথম চেষ্টা অবশ্য ব্যর্থ হয়েছে। এখন প্রধান কোচ নয়, টিম ডিরেক্টর হিসেবে আসতে পারেন আর্থার। গণমাধ্যমের খবর, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি হয়ে যাবে।
পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হলে একই সঙ্গে দুটি দলের কোচিং ভূমিকা দেখা যাবে আর্থারকে। কারণ, কাউন্টি ক্রিকেটের দল ডার্বিশায়ারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আছেন তিনি। আর এই দায়িত্ব ছাড়তে নারাজ আর্থার। ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর অনুয়ায়ী, দুই পক্ষই (ডার্বিশায়ার ও পাকিস্তান) মিকি আর্থারের দুই চাকরি একই সঙ্গে চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একসঙ্গে দুই চাকরির চুক্তির ঘটনা বিরল। টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিলেও পাকিস্তানের অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সিরিজ বা সফরে দলের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারবেন না আর্থার। তবে একটি সাপোর্টস্টাফ গ্রুপ তৈরি করবেন তিনি, যারা পাকিস্তান ক্রিকেটে কোচিং দেখভাল করবেন।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বুধবার মিসবাহ বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্বকে সেভাবে পাত্তাই দিচ্ছেন না আর্থার। তবুও তাকে আনতে উঠে পড়ে লেগেছে বোর্ড।
“এটা পাকিস্তানের ক্রিকেট সিস্টেমকে চড় মারার সমান, কারণ আমরা একজন ফুল টাইম হাই-প্রোফাইল কোচ খুঁজে বের করতে পারছি না। এটা হতাশাজনক যে, সেরাদের কেউ এখানে আসতে চায় না। আর আমরা এমন একজনকে আনতে জোর চেষ্টা করছি, যিনি পাকিস্তানকে তার দ্বিতীয় অপশন হিসেবে দেখছেন।”
এমন পরিস্থিতির জন্য নিজেদেরই দায়ী করছেন মিসবাহ। তার মতে, নিজেদের ভাবমূর্তি নিজেরাই নষ্ট করছে পাকিস্তানিরা। বিশেষ করে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
“আমাদের ক্রিকেট সিস্টেমকেই দোষ দিব আমি। এটায় অনেক দুর্বল দিক আছে, যে কেউ ভঙ্গুর এই সিস্টেমকে কাজে লাগাতে পারে। নিজেরাই আমরা নিজেদের মানুষদের অসম্মান ও অবজ্ঞা করি, এর জন্য দায়ী আমরাই। যার ফলে আমাদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে।”
“আমাদের বর্তমান এবং সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই পরস্পরকে সম্মান করে না। সাবেক ক্রিকেটারদের দেখা যায় রেটিংয়ে জন্য নিজ নিজ ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করছে। এটা আমাদের ক্রিকেটের ইমেজকে ব্যাপকভাবে আঘাত করছে। যার ফলে একটা ধারনা তৈরি হচ্ছে যে আমরা অক্ষম।”