ইংলিশ ব্যাটসম্যানের খুনে ইনিংসে গুজরাট টাইটান্সের ২০০ রান ২৪ বল আগে ও ৯ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
Published : 28 Apr 2024, 09:12 PM
ধীরলয়ে শুরু করলেন উইল জ্যাকস। তার রান যখন ১৭, ততক্ষণে ফিফটি পেরিয়ে ভিরাট কোহলি। ভারতীয় তারকার আরেকটি সেঞ্চুরির সম্ভাবনা দিচ্ছিল উঁকি। কে ভেবেছিল, ম্যাচের পরের অংশটা হবে কেবলই জ্যাকসময়। ব্যাটকে তরবারি বানিয়ে গুজরাট টাইটান্সের বোলারদের কচুকাটা করলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। কোহলিকে আর কোনো সুযোগ না দিয়ে উপহার দিলেন চোখধাঁধানো এক সেঞ্চুরি।
আহমেদাবাদে রোববার রান তাড়ায় ঠিক ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জ্যাকস। ১০ ছক্কা ও ৫ চারে ৪১ বলের ইনিংসটি সাজান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার তাণ্ডবে গুজরাটের ২০০ রান ২৪ বল আগে ও ৯ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
জ্যাকসের সেঞ্চুরি নিয়েও তৈরি হয় নাটকীয়তা। দুই দলের রান যখন সমান, তখন শতক পূরণ করতে তার প্রয়োজন ৬ রান। কোনো ভুল করেননি জ্যাকস। রাশিদ খানকে ছক্কায় উড়িয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া নেন তিনি।
আইপিএলে নিজের প্রথম আসরেই সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন জ্যাকস। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার চতুর্থ শতক।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ২৪ রান করে ফাফ দু প্লেসি বিদায় নিলে ক্রিজে যান জ্যাকস। শুরুতে দেখেশুনে খেলেন তিনি। আরেক প্রান্তে রানের চাকায় দম দেন কোহলি। প্রথম ১৭ বলে যখন জ্যাকসের রান ১৭, কোহলি তখন খেলছিলেন ৫১ রানে।
মোহিত শার্মাকে ছক্কা মেরে উড়াল দেন জ্যাকস। এরপর আর কেউ থামাতে পারেনি তাকে। খুনে ব্যাটিংয়ে একের পর এক চার-ছক্কায় পরের ২৪ বলে ৮৩ রান তুলে পা রাখেন সেঞ্চুরিতে।
জ্যাকসের ঝড়ের বড় ঝাপ্টা যায় মোহিত ও রাশিদের ওপর দিয়ে। পঞ্চদশ ওভারে পেসার মোহিতকে ৩ ছক্কা ও ২ চার হাঁকিয়ে ৩১ বলে ফিফটি করার পাশাপাশি ছাড়িয়ে যান কোহলিকে।
পরের ওভারে জ্যাকসের তোপের মুখে পড়েন রাশিদ। আফগান তারকা লেগ স্পিনারকে এক চার ও ৪টি ছক্কায় সেঞ্চুরিতে পা রাখেন তিনি। পঞ্চাশ থেকে শতকে পৌঁছাতে তার লাগে স্রেফ ১০ বল।
আরেক প্রান্তে দাঁড়িয়ে জ্যাকসের তাণ্ডব দেখে যান কোহলি। ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৪৪ বল ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ভারতের ব্যাটিং গ্রেট। ম্যাচ শেষে সতীর্থকে প্রশংসায় তিনি ভাসিয়ে বললেন, অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে এমন ইনিংসের সাক্ষী হতে পেরে বেশ লাগছে তার।
“অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে খেলাটি দেখতে পেরে আমি খুশি। আমি বলতে চাচ্ছি, ভেবেছিলাম আমরা হয়তো ১৯তম ওভারে জিততে পারব, কিন্তু ১৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ করা অসাধারণ ব্যাপার। আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টিতে সব সেঞ্চুরির মধ্যে অন্যতম সেরা জ্যাকসের ইনিংসটি। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে যা দেখতে পেরে আমি খুব খুশি।”
ম্যাচের প্রথমভাগে আলো ছড়ান সাই সুদার্শন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা গুজরাটকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার পথে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৪৯ বলে ৮৪ রানে অপরজিত থাকেন তিনি। ৩০ বলে ৫৮ রান করতে শাহরুখ খান মারেন ৫ ছক্কা ও ৩ চার।