সব সার্ভিস থেকে পরীক্ষার ভিত্তিতে এসইএস এ নিয়োগ করলে মেধার প্রাধান্য নিশ্চিত হবে, অসমতা দূর হবে, বলেন কমিশন প্রধান
Published : 05 Feb 2025, 11:59 PM
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে আলাদা ‘বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস’ ও সচিবালয়ে ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস-এসইএস’ গঠনের সুপারিশ এসেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে।
এসইএস গঠনের সুপারিশ করে কমিশন বলেছে, উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত এই কর্মকর্তারা সরকারের সব সার্ভিস থেকে আসতে পারবেন, তবে সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হাতে পেয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, প্রশাসনিক সার্ভিসের কর্মকর্তারা, যারা এসইএস এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেবেন না বা অকৃতকার্য হবেন তারা ওই সার্ভিসেই পদোন্নতি (লাইন প্রমোশন) পাবেন। একইভাবে অন্য সার্ভিসের কর্মকর্তাও পদোন্নতি পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রেও তাদের পরীক্ষা দিতে হবে।
মাঠ প্রশাসনের ক্ষেত্রে এখন যেমন সহকারী কমিশনার পদ থেকে শুরু হয়, পুনর্বিন্যাস করে প্রশাসনিক সার্ভিস করা হলেও তাই থাকবে। তাদের বেতন নবম গ্রেডে হবে। পরের ধাপ সিনিয়র সহকারী কমিশনার বা উপজেলা কমিশনার। অর্থাৎ বিদ্যমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদটি উপজেলা কমিশনার হবে। এসইএস পরীক্ষা দিয়ে উপসচিব হিসেবে সচিবালয়ে যাওয়ার সুযোগ না পেলেও বা পরীক্ষা না দিলও তারা অতিরিক্ত জেলা কমিশনার পদে পদোন্নতি পাবেন। এভাবে প্রশাসনিক সার্ভিসে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার ও প্রধান কমিশনার হবেন।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পরীক্ষা দিয়ে এসইএসে যাবে। তবে সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (মুখ্য সচিব) ও কেবিনেট সেক্রেটারি (মন্ত্রি পরিষদ সচিব) পদে নিয়োগ দেবে মন্ত্রিসভা কমিটি।
অন্য সার্ভিসের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে সহকারী পরিচালক হবে শুরুর পদ। পরের ধাপগুলো হচ্ছে যথাক্রমে উপজেলা প্রধান, অতিরিক্ত পরিচালক, পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, মহাপরিচালক ও সার্ভিস চিফ, যেমন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে হবে চিফ অব হেলথ সার্ভিস।
প্রশাসনিক সার্ভিসের ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার ও অন্য সার্ভিসের মহাপরিচালক ও এসইএসের সচিব পদ গ্রেড-১ হবে। তার পরের ধাপের পদ হবে প্রশাসনিক সার্ভিসে প্রধান কমিশনার, এসইএস এ মুখ্য সচিব ও অন্য সার্ভিসে চিফ অব সার্ভিস পদ (যেমন-চিফ অব হেলথ সার্ভিস) হবে।
প্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, এসইএস ও বাইরে থেকে যারা জেলা প্রশাসক পদে আসবেন তাদের শতকরা হার ওই সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত প্রার্থীর সমানুপাতিকে নির্ধারিত হবে।
কমিশন প্রধান বলেন, “সকল সার্ভিস থেকে মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সচিবালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলো নিয়ে একটি ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস’ (এসইএস) গঠনের সুপারিশ করা হলো।”
তুমুল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঘটে। ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
বিরোধী মত ও আন্দোলন দমনের ক্ষেত্রে বিভাগকে ব্যবহারের অভিযোগও ওঠে। তখন বিগত সরকারের বিরুদ্ধে ‘কর্তৃত্ববাদী’ শাসনের অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের দিক থেকে।
এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কারে প্রথম ধাপে ছয়টি কমিশন করে।
গত অক্টোবরে গঠিত এসব কমিশনের চারটি ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গত ৩ অক্টোবর ১১ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমার কথা ছিল। পরে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তবে তার আগে বুধবার কমিশন প্রতিবেদন জমা দিল। এছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনও এদিন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে।
প্রশাসন সংস্কার কমিশন এসইএস গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেছে, “সচিবালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে বিভিন্ন সার্ভিস কর্মকর্তাদের নিয়োগ পাওয়ার আকাঙ্খা থাকে।
“যেহেতু সিভিল সার্ভিস কাঠামো পিরামিডের মত, সেহেতু শীর্ষ পদে সকলের যাওয়ার সুযোগ রাখা যায় না। সেক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে (মেরিটোক্র্যাসি) উচ্চতর পদগুলোতে আরোহণের সুযোগ প্রদান করাই যুক্তিসঙ্গত। বিশ্বের বহু দেশেই এ নীতি অনুসরণ করা হয়।”
কমিশন বলছে, “সকল সার্ভিস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ভিত্তিতে এসইএস এ নিয়োগ করা হলে একদিকে মেধার প্রাধান্য নিশ্চিত হবে; অপরদিকে, আন্তঃসার্ভিস অসমতা দূর হবে।”
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরোধিতা উপেক্ষা করে উপসচিব পদে ওই ক্যাডারের জন্য কোটা ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাস্তবতার নিরিখে প্রশাসনিক সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় বর্তমানে উপসচিব পদের ৭৫ শতাংশ ওই সার্ভিসের জন্য সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা রাখা আছে। সকল সার্ভিসের সমতা বজায় রাখার স্বার্থে এবং জনপ্রশাসনের উচ্চতর পদে মেধাবীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন প্রশাসনিক সার্ভিসের ৭৫ শতাংশ কোটা হ্রাস করে ৫০ শতাংশ করার বিষয়টি অধিকতর যৌক্তিক মনে করছে।”
অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ পদ অন্যান্য সার্ভিসের জন্য উন্মুক্ত থাকার কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, “তবে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলার রায় ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির আইনগত দিক পরীক্ষা করে দেখার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
“উল্লেখ্য যে, কোনো কর্মকর্তা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ৫০% কোটার কোনো একটি গ্রুপের পদ পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে কোনো গ্রুপের প্রার্থীকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে।”
এসইএস গঠনের ক্ষেত্রেও পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মৌখিক ও মনস্তাত্বিক পরীক্ষা শেষ করে চূড়ান্ত সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
কোন প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা হবে, তা সুপারিশ করে কমিশন বলেছে, “প্রতি বছর একবার করে তিনটি পদের জন্য আলাদাভাবে প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রতিভা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হবে।”
সুপারিশে বলা হয়, কেউ একবার উত্তীর্ণ না হতে পারলে পরের ব্যাচে আরেকবার পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে, উপর্যুপরি দুই বার অকৃতকার্য হলে তিনি আর পুনরায় কোনো সুযোগ পাবেন না।
কমিশন বলছে, কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যে কোনো সার্ভিসের সিনিয়র স্কেলপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসইএস-এর উপসচিব পদের জন্য আবেদন করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
“পদোন্নতির লিখিত পরীক্ষায় পাশ মার্ক ৭০%, বার্ষিক পারফরমেন্স প্রতিবেদন ১৫% এবং বাধ্যতামুলক প্রশিক্ষণ ১৫% মার্ক নির্ধারণ করতে হবে।”
সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসে প্রবেশের পর সম্মিলিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাক্রম অনুসারে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
কোনো বিশেষায়িত সার্ভিসের কোনো কর্মকর্তা একবার এসইএসে প্রবেশের পর তার আগের সার্ভিসে ফেরত যেতে পারবেন না, এমন সুপারিশ করে কমিশন বলেছে, “এসইএস পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে সকল সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মিলিত মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।”
কমিশনের সুপারিশের বলা হয়, “যে সকল কর্মকর্তা বর্তমানে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে কর্মরত আছেন তারা সকলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসইএস এ অন্তর্ভুক্ত হবেন। সচিব, মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসইএস-এর সদস্য হবেন।”
সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসের বাইরে ৫ শতাংশ পদে সরকার বিশেষ কোনো যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক যুগ্মসচিব বা সংস্থা প্রধান পদে নিয়োগ দিতে পারার সুযোগ রাখার কথাও বলেছে সংস্কার কমিশন।
এক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আওতায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহ্বানের পরে মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিয়োগ হতে হবে। এ ছাড়া তাদেরকে দায়িত্ব প্রদানের আগে কমপক্ষে তিন মাস ওরিয়েন্টেশন কোর্স সমাপ্ত করার বিধান করতে হবে।
নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদেরও এসইএসে অন্তর্ভূক্তিতে সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের যাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫০ গ্রেড পয়েন্ট এবং ১৫ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সচিব নিয়োগে মন্ত্রিসভা কমিটি
বর্তমান সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রিসভা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের কথা বলেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
কমিশনের সুপারিশ বলা হয়েছে, “একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা কমিটি অতিরিক্তি সচিবদের মধ্য থেকে বাছাই করে সচিব ও সচিবদের মধ্য থেকে মুখ্য সচিব পদে পদোন্নতির প্রস্তাব সরকার প্রধানের কাছে পেশ করবে।
“অতিরিক্ত সচিবদের মধ্য থেকে সচিব নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনাময় অফিসারদের জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার মত তারা যোগ্য হতে পারেন।”
পদোন্নতি না পেলে বেতন সুবিধা
কোনো কর্মচারী যদি কোনো পদে পদোন্নতির সর্বোচ্চ ধাপে পৌছে যান এবং এরপরে আর ইনক্রিমেন্ট না পেয়ে থাকেন এবং তিনি যদি কোনো বিভাগীয় মামালায় গুরুদণ্ডে দন্ডিত না হয়ে থাকেন, তবে তাকে দুই বছর পর পরবর্তী বেতন স্কেল প্রদানের সুপারিশ করা হলো।
বর্তমানের ৪৩টি মন্ত্রণালয় এবং ৬১টি বিভাগ থেকে কমিয়ে যথাক্রয়ে ২৫টি এবং ৪০টিতে পুনর্বিন্যাস করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে পাঁচটি গুচ্ছে বিন্যস্ত করারও সুপারিশ এসেছে।
গুচ্ছগুলো হচ্ছে- বিধিবদ্ধ প্রশাসন; অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য; ভৌত অবকাঠামো ও যোগাযোগ; কৃষি ও পরিবেশ এবং মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন।
মন্ত্রণালয়গুলোকে পুনর্বিন্যস্ত করা হলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একাধিক বিভাগ সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার সচিবদের মধ্য থেকে একজনকে মুখ্য সচিব করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “তাদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য সে সকল মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন সচিবকে মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হল। বর্তমান সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে এ পদে পদায়ন করা যেতে পারে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান ‘সিনিয়র সচিব’ নামকরণ বাদ দেওয়ার সুপারিশও করছে সংস্কার কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও সচিব পদে কোনো বেতন গ্রেড বা স্কেল থাকবে না। সরকার তাদের বেতন-ভাতা ও সুবিধা নির্ধারণ করবে।