প্রায় দুইশ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্বল্প ব্যবধানে হারের পর মাঝের ওভারের মন্থর ব্যাটিংকে দায় দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
Published : 27 Jan 2024, 07:18 PM
আহমেদ শেহজাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কাঙ্ক্ষিত শুরুই পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। বড় রান তাড়ায় প্রয়োজন ছিল গতিটা ধরে রাখা। সেটা মোটেও করতে পারেননি প্রথম চার ব্যাটসম্যানের অন্য তিন জন। মাঝের ওভারে তাদের মন্থর ব্যাটিংয়ে দল এতো দূরে সরে যায় যে মেহেদী হাসান মিরাজের শেষের বিস্ফোরক ব্যাটিংও কক্ষপথে ফেরার জন্য যথেষ্ট হয়নি। হারের পর মাঝের ওই ‘আয়েশী’ ব্যাটিংকে দায় দিলেন বরিশাল সহ-অধিনায়ক।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের করা ১৯৩ রানের জবাবে ১৮৩ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। শুরুতে শেহজাদের পর শেষ দিকে আগ্রাসী ইনিংস খেলেন মিরাজ। মাঝের কেউই পারেননি চাহিদা মিটিয়ে রান করতে। বরিশালকে এর মাশুল দিতে হয় হ্যাটট্রিক পরাজয়ে।
১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেহজাদ খেলেন ১৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস, তার স্ট্রাইক রেট ২২৯.৪১। তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের স্ট্রাইক ১১০ ছাড়ায়নি। তিন জন মিলে ৬৮ বল খেলে করতে পারেন কেবল ৭৩ রান।
প্রথম ছয় ওভারে ৬০ রান করে বরিশাল। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বড় শটের চেষ্টায় ফেরেন শেহজাদ। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তাদের পিছিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৬ রান করতে ২৯ বল খেলেন তামিম ও সৌম্য।
একাদশ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেন তামিম। ৩০ বলে তিনি করেন ৩৩ রান। একই ওভারে ফেরা সৌম্য ১৭ রান করতে খেলেন ১৬ বল। ক্যাম্ফারের পরের ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। এই দুই ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। চোখের পলকে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বরিশাল।
এক পর্যায়ে ওভারপ্রতি ১০ রানের চাহিদা তখন বেড়ে উঠে ১৪-তে। সেখান থেকে মিরাজ ১৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। তবে এতে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমে। অভিজ্ঞ মুশফিক ২২ বলে করেন ২৩ রান।
ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি ওভারে একই ছন্দ ধরে রেখে খেলার তাগিদ দেন সহ-অধিনায়ক মিরাজ।
“টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশি রান তাড়া করতে গেলে প্রত্যেক ওভারে রান রেট ঠিক রাখতে হবে। আমরা ১৯৪ রান তাড়া করতে নেমেছি, প্রায় সাড়ে ৯ করে লাগে ওভারে। তো এখানে (টি-টোয়েন্টিতে) কিন্তু কোন ওভারে রিল্যাক্সে খেলা যাবে না। প্রথম ৬ ওভারে আমরা যেভাবে খেলেছিলাম, ২০ ওভার পর্যন্ত ঠিক ওভাবেই খেলতে হবে। এভাবে না খেললে তো রান-রেট বেড়ে যাবে।”
“ওরা মাঝখানে দুটি ওভার ভালো বোলিং করেছে। ওখানে আমাদের তিনটা উইকেটে চলে গেছে। ফলে উইকেটও পড়েছে, আমাদের রান রেটের চাহিদাও বেড়েছে। একটা সময়ে আমাদের ১৪ করে রান লাগছিল। সেটা যদি ১০-১১ বা এর কাছাকাছি থাকত, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য সহজ হতো।”