বিরেন্দর শেবাগের মতে, কেকেআর দলে রিংকু সিং এখন ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়।
Published : 15 Apr 2023, 04:40 PM
শেষ ওভারে টানা ৫ ছক্কায় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে রিংকু সিংয়ের ম্যাচ জেতানোর সেই অভূতপূর্ব ঘটনার পর সপ্তাহ পার হতে চলেছে। কিন্তু তার অমন চমৎকার কীর্তি নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। স্তুতির ওজনে তাদের সবাইকে যেন ছাড়িয়ে গেলেন বিরেন্দর শেবাগ। কেকেআর দলে রিংকুর গুরুত্ব বোঝাতে শচিন টেন্ডুলকারের উদাহরণ টানলেন তিনি।
আহমেদাবাদে গত রোববার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ২১ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে কলকাতাকে অনেক দিন মনে রাখার মতো এক জয় এনে দেন রিংকু। ৫ বলে ২৮ রানের সমীকরণে টানা পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। শুরুতে রানের জন্য হাপিত্যেশ করা ব্যাটসম্যান শেষ ৭ বলে নেন ৪০ রান!
এমন ইনিংস খেলার পর রিংকুকে কেকেআরের ম্যাচজয়ী কিংবা যোগ্য ফিনিশার হিসেবে দেখছেন শেবাগ। গুজরাটের বিপক্ষে ওই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের পর শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নামে কলকাতা।
ক্রিকবাজের ম্যাচ পূর্ববর্তী আলোচনায় ২৫ বছর বয়সী রিংকুকে কিংবদন্তি শচিন, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সঙ্গে তুলনা দেন শেবাগ।
“কেকেআর দলে একটা ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে যে, রিংকু এখনও আছে। যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি ম্যাচ জেতানো শুরু করল, তখন সবার মনে আস্থা জন্মেছিল যে, ধোনি আছে এখনও। নব্বইয়ের দশকে বিষয়টি এমন ছিল যে, টেন্ডুলকার টিকে থাকলে ম্যাচ জেতা সম্ভব। অন্যথায় নয়। এখন কেকেআর ও রিংকু সিংয়ের ক্ষেত্রেও তা-ই। এর আগে তাদের জন্য ছিল আন্দ্রে রাসেল।”
গুজরাট ম্যাচের চেয়ে হায়দরাবাদের বিপক্ষে শেষ ওভারে আরও কঠিন সমীকরণে ছিল কেকেআর; জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩২ রান। তারপরও রিংকু ক্রিজে থাকায় কিছুটা আশায় ছিল ভক্তরা। কিন্তু নাটরাজনের করা আগের ওভারে ১৬ রান নিলেও শেষ ওভারে প্রথম তিন বলে স্ট্রাইকই পাননি রিংকু। শেষ তিন বলে এক ছক্কায় নিতে পারেন ৭ রান।
উত্তরসূরির ভূয়সী প্রশংসা করলেও কঠিন বাস্তবতাও মনে করিয়ে দিলেন শেবাগ। বললেন, আগামীতে ওভারের প্রথম বল থেকে স্ট্রাইক পেলেও রিংকু আর ৫ ছক্কার পুনরাবৃত্তি করতে হয়তো পারবেন না।
“ক্রিকেট ইতিহাসে এমনটা (শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা) আগে কখনও হয়নি এবং রিংকুও আবার কখনও তা করতে পারবে না। এই রেকর্ড হয়েছে, হয়তো ভেঙেও যাবে। কিন্তু রিংকু কখনও আর ৬ ছক্কা মেরে এই রেকর্ড ভাঙতে পারবে না।”
“এসব ক্ষেত্রে কিছুটা ভাগ্যও লাগে। বোলিংয়ে যদি আলজারি জোসেফ হতো, তাহলে রিংকু জানতো যে, সে হয়তো তাকে মারতে পারবে না। কিন্তু সে ইয়াশ দয়ালের বল মোকাবিলা করেছে, যাকে সারাজীবন নেটে খেলেছে। তাই মানসিক দিক থেকে ভালো অবস্থায় ছিল রিংকু।”