গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আর মাঠেই নামতে পারেননি ভারতীয় ফাস্ট বোলার।
Published : 24 Feb 2024, 12:38 PM
আরও মাস দুয়েক আগেই মোহাম্মদ শামির মাঠে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এখন থেকে আরও দুই মাস পরও তিনি ফিরতে পারবেন কি না, সেই নিশ্চয়তা আপাতত নেই। আইপিএলের শুরুর ভাগে তার না খেলা আপাতত অনেকটাই নিশ্চিত।
গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকেই অ্যাঙ্কেলের চোটের কারণে কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারেনি শামি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, অ্যাঙ্কেলে অস্ত্রোপচার করাতে পারেন ৩৩ বছর বয়সী পেসার। শিগগিরই একজন শল্যবিদের পরামর্শ নিতে পারেন তিনি। অস্ত্রোপচার করাতে হলে আইপিএলের বেশির ভাগটুকু নিশ্চিতভাবেই বাইরে থাকতে হবে শামিকে।
এবারের আইপিএল শুরু আগামী ২২ মার্চ। পুরো সূচি এখনও দেওয়া না হলেও টুর্নামেন্ট শেষ হতে পারে ২৬ মে।
শেষ পর্যন্ত শামিকে না পেলে তার দল গুজরাট টাইটান্সের জন্য তা হবে বিশাল এক ধাক্কা। এমনিতেই সফল অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এই দল ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। শামিকেও না পেলে বোলিং আক্রমণের শক্তি এক ঝটকায় কমে যাবে অনেকটা। গত দুই আসরে গুজরাটের সাফল্যে এই পেসারের অবদান ছিল মহামূল্য।
২০২২ আসরে আইপিএল অভিষেকেই শিরোপা জয় করে গুজরাট। সেবার দলের সর্বোচ্চ ২০ উইকেট শিকার করেন শামি। গত মৌসুমে গুজরাট ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে গেলেও ২৮ উইকেট নিয়ে শামিই ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
গত বিশ্বকাপে শুরুর দিকে ভারতের একাদশে জায়গা না পেলেও পরে সুযোগ পেয়ে অসাধারণ বোলিং করেন শামি। স্রেফ ৭ ম্যাচ খেলেই ২৪ উইকেট নিয়ে বিশ্ব আসরের সবচেয়ে বেশি উইকেট ছিল তারই। তবে অ্যাঙ্কেলের চোট তখনও তাকে ভোগাচ্ছিল। ইনজেকশন নিয়ে ম্যাচের পর ম্যাচ খেলছিলেন অভিজ্ঞ পেসার।
১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালের পর মাঠে না থাকলেও ইনজেকশন নিতে হচ্ছিল শামিকে। ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডেও রাখা হয় তাকে। তবে গত ১৬ ডিসেম্বর বিসিসিআই জানায়, মেডিকেল টিমের ছাড়পত্র না পাওয়ায় সফর থেকে ছিটকে গেছেন শামি। তার চোট নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের একমাত্র বিবৃতি ছিল সেটিই।
জানুয়ারির শুরুর দিকে শামি জানান, তার অ্যাঙ্কেলে জড়তা আছে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারবেন বলেও আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু ৬৪ টেস্টে ২২৯ উইকেট নেওয়া পেসারের সেই আশাও পূরণ হয়নি। তার চোটের ধরণ নিয়ে তাই অনিশ্চয়তা বাড়ছে ক্রমেই।
গত ২২ জানুয়ারি বিসিসিআই অ্যাওয়ার্ডে যোগ দেওয়ার পর তিনি দেশের বাইরে অ্যাঙ্কেল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে। অস্ত্রোপচার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগামী সপ্তাহে আরও একজন শল্যবিদের পরামর্শ নিতে পারেন তিনি।
ভারতের চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা চোটে পড়লে সাধারণত তাদের পুনর্বাসন চলে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে। তবে শামি সেখানেও নেই। জানুয়ারিতে তিনি অবশ্য বলেছিলেন, জাতীয় একাডেমির বিশেষজ্ঞরা তার চোটের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। বিসিসিআই বা গুজরাট টাইটান্স, কোনো পক্ষ থেকেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি তার চোটের অবস্থা নিয়ে।