মোহামেডানকে গুঁড়িয়ে ৫ উইকেট নিলেন নাহিদ রানা, সেঞ্চুরিতে দলের জয়ে বড় অবদান রাখলেন শামসুর রহমান, বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের নায়ক হাবিবুর রহমান।
Published : 16 Apr 2024, 08:06 PM
টেস্ট আঙিনায় গতির ঝলক দেখানোর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিংয়ের ধারা ধরে রেখেছেন নাহিদ রানা। ঈদের আগে দলের শেষ ম্যাচে উইকেট নিয়েছিলেন তিনি চারটি। ঈদের পর শুরু করলেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে। তরুণ গতি তারকার পারফরম্যান্সই গড়ে দিল মোহামেডানের বিপক্ষে শাইনপুকুরের জয়ের ভিত।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নাহিদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিন সেঞ্চুরি করেন অভিজ্ঞ শামসুর রহমান। সাজ্জাদুল হকের ৭ ছক্কার ঝড় ছাপিয়ে জেতে তার দল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। দশম রাউন্ডের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয়ের নায়ক হাবিবুর রহমান।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নাহিদের ৫ উইকেট
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারায় শাইনপুকুর।
নাহিদের তোপে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে থামে মোহামেডান। শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝে বৃষ্টি নামলে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১৫৮ রান। ১৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় আকবর আলি দল।
দশ ম্যাচে শাইনপুকুরের সপ্তম জয় এটি। পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠল তারা। সমান ম্যাচে মোহামেডানের জয়ও সমান ৭টি। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় চার নম্বরে তারা।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন নাহিদ। ছয় ম্যাচের লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় ৫ উইকেট এটি। আগের রাউন্ডে ৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী পেসার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নাহিদের তোপের মুখে পড়ে মোহামেডান। চতুর্থ ওভারে রনি তালুকদারকে কট বিহাইন্ড করেন তরুণ পেসার। পরের ওভারে ছন্দে থাকা মাহিদুল ইসলামকে খালি হাতে ফেরান তিনি।
তৃতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেন ইমরুল কায়েস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। চলতি লিগে দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৭৩ বলে ৫৬ রান করে ফেরেন ইমরুল। লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ২৯ রান। দুজনকেই আউট করেন হাসান মুরাদ।
পরে মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম হতাশ করলে আরও একবার ত্রানকর্তা হয়ে আসেন আবু হায়দার। আরিফুল হকের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে তিনি গড়ে তোলেন ৭৯ রানের জুটি।
৩০ রান করে ফেরেন আরিফুল। চলতি লিগে দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় ফিফটিতে ৫১ রান করেন আবু হায়দার। ৫৫ বলে ৪ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।
নাহিদ রানার আগুনে বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১০ ওভারে স্রেফ ২০ রান খরচায় ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ।
রান তাড়ায় উড়ন্ত শুরু করেন জিসান আলম। প্রথম ওভারে আবু হায়দারের বলে তিনি মারেন ছক্কা। পরের নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসানের বলের ঠিকানাও করেন সীমানার ওপারে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তরুণ ওপেনার। আবু হায়দারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামে তার ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস।
আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানও ভালো কিছুর আশা জাগালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন তিনি। তিন নম্বরে নামা খালিদ হাসানও পারেননি বড় কিছু করতে।
অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব আউট হন ৩০ রান করে। ২৫তম ওভারে বৃষ্টি নামলে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। পুনরায় খেলা শুরু হলে ৩৩ বলে ৩৬ রান বাকি থাকে শাইনপুকুরের। আকবর আলি ও ইরফান শুক্কুর মিলে ১৯ বলেই করে ফেলেন সেটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২২৭ (ইমরুল ৫৬, রনি ৪, মাহিদুল ০, মিরাজ ২৯, মাহমুদউল্লাহ ১৫, আরিফুল ইসলাম ৫, আরিফুল হক ৩০, আবু হায়দার ৫১, নাসুম ৩, নাঈম ১২*, কামরুল ৩*; রবিউল ১০-০-৫৯-১, নাহিদ ১০-০-৪৫-৫, আরাফাত ৮-১-৩৬-০, জিসান ৪-০-১৯-০, মুরাদ ১০-০-২০-২, রিশাদ ৮-০-৪৭-১)
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: (লক্ষ্য ৩০ ওভারে ১৫৮) ২৭.৪ ওভারে ১৫৮/৪ (তানজিদ ৩৬, জিসান ২৬, খালিদ ১৩, মার্শাল ৩০, ইরফান ১১*, আকবর ২৭*; আবু হায়দার ৫-০-৪৫-০, নাঈম ৭-০-২৭-১, নাসুম ৪-০-২৫-০, মিরাজ ৭-০-২৬-০, রাব্বি ২-০-১৮-০, মাহমুদউল্লাহ ২.৪-০-১৪-১)
ফল: ডিএলএস পদ্ধতিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাহিদ রানা
সাজ্জাদুলের ৭ ছক্কার ঝড় সামলে জিতল রূপগঞ্জ টাইগার্স
শামসুর রহমানের সেঞ্চুরি ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৮১ রানের ইনিংসে তিনশ ছুঁইছুঁই পুঁজি পায় রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে লক্ষ্য তাড়ায় বেশ পিছিয়ে পড়ে সিটি ক্লাব। পরে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাদের আশা জাগিয়ে তোলেন সাজ্জাদুল হক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি ছয় নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে রূপগঞ্জ টাইগার্সের জয় ৫ রানে। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৯৭ রান করে তারা। সিটি ক্লাবের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি নামলে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ২৬৬ রানের। সাজ্জাদুলের চেষ্টার পরও ২৬০ রানের বেশি করতে পারেনি সিটি ক্লাব।
ব্যাট হাতে আশি ছাড়ানো ইনিংসের পর বল হাতেও দুটি উইকেট নেন মামুন। শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণে স্রেফ ৪ রান দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ২০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এছাড়া বড় অবদান রাখেন শামসুর রহমান ও আরাফাত সানি জুনিয়র। লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিতে ১০৬ রান করেন শামসুর। ৯৩ বলের ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। বাঁহাতি স্পিনে ৩২ রানে ৪ উইকেট নেন আরাফাত।
ম্যাচের শেষ দিকে একার লড়াইয়ে ৩৭ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন সাজ্জাদুল। ৩ চারের সঙ্গে ৭ ছক্কায় রূপগঞ্জ টাইগার্স শিবিরে কাঁপন ধরান তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলেই থাকতে হয় ৩৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে জসিম উদ্দিনের উইকেট হারায় রুপগঞ্জ টাইগার্স। দ্বিতীয় উইকেটে মাহফিজুল ইসলামের সঙ্গে ৫৭ রান যোগ করেন মামুন। মাহফিজুল ৩৪ রান করে ফিরলে জোট বাধেন মামুন ও শামসুর।
তৃতীয় উইকেটে ১২০ বলে ১৩৯ রানের জুটি গড়েন তারা দুজন। ৯২ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৪ ছক্কা মেরে আউট হন মামুন। ৫৬ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া শামসুর পরের পঞ্চাশ রান করেন স্রেফ ৩৪ বলে। শেষ দিকে কেউ দায়িত্ব নিতে না পারায় তিনশ ছোঁয়া হয়নি রূপগঞ্জ টাইগার্সের।
বড় লক্ষ্যে প্রথম দশ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেরে সিটি ক্লাব। তৃতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেন শাহরিয়ার কোমল ও আশিকুল আলম। ৭৬ বলে ৬৫ রান করেন অধিনায়ক শাহরিয়ার। আশিকুল ফেরেন ৬৪ বলে ৪৮ রান করে।
এই জুটি ভাঙার পর ৮৪ বলে ১২৬ রান প্রয়োজন ছিল সিটি ক্লাবের। সেখান থেকে দায়িত্ব নেন সাজ্জাদুল। প্রথমে মইনুল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে ৪৬ বলে ৬২ ও পরে মইনুল ইসলামের সঙ্গে স্রেফ ২২ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। স্রেফ ৩০ বলে তিনি করেন ফিফটি।
শেষ ৩ ওভারে ৩৮ রানের সমীকরণে ১২ বলে ২৮ রান করে ফেলেন সাজ্জাদুল ও মইনুল ইসলাম। কিন্তু মামুনের করা শেষ ওভারে আর বাকি থাকা ১০ রান নিতে পারেননি তারা।
দশ ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের দ্বিতীয় জয় এটি। পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরে তাদের অবস্থান। সমান ম্যাচে সমান জয়ে তাদের ঠিক ওপরে সিটি ক্লাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৯৭/৮ (মাহফিজুল ৩৪, জসিম ৯, মামুন ৮১, শামসুর ১০৬, আরাফাত ২৭, সোহাগ ৩, সালমান ১, ফরহাদ ১২, বর্ষণ ৩*, হাশিম ০*; ইফরান ১০-০-৫৬-৩, সোহেল ১০-০-৫৯-৩, মইনুল ইসলাম ৭-১-৩৯-০, রাফসান ১০-২-৩১-০, নাইমুর ৯-১-৭০-২, আশিকুল ৩-০-১৯-০, সাজ্জাদুল ১-০-১৪-০)
সিটি ক্লাব: (লক্ষ্য ৪১ ওভারে ২৬৬) ৪১ ওভারে ২৬০/৮ (সাদিকুর ১০, হাসানুজ্জামান ১৩, শাহরিয়ার ৬৫, রাফসান ০, আশিকুল ৪৮, সাজ্জাদুল ৬৯*, মইনুল সোহেল ২২, মইনুল ইসলাম ১৩, ইফরান ০, নাইমুর ০*; বর্ষণ ৭-০-৬৮-০, সোহাগ ৩-০-২০-০, আরাফাত ৮-২-৩২-৪, নাবিল ৮-০-৫১-০, হাশিম ৮-১-৩১-১, মামুন ৭-০-৪৯-২)
ফল: ডিএলএস পদ্ধতিতে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আব্দুল্লাহ আল মামুন
চার ব্যাটসম্যানের ফিফটির পর গাফফারের ৪ উইকেট
বৃষ্টি বাগড়া বাধায় বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে দিনের অন্য ম্যাচেও। ওই ম্যাচে অবশ্য লড়াই জমাতে পারেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ১৩০ রানের জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
আনিসুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সাব্বির রহমান ও আল আমিন হোসেনের ষাটোর্ধ্ব ইনিংসে চলতি লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪৪ রান করে গাজী গ্রুপ। বৃষ্টি নামলে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩০৯ রান। জবাবে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স।
দশ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে সুপার লিগ খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল সাত নম্বরে থাকা গাজী গ্রুপ। সমান ম্যাচে ৩ জয়ে আট নম্বরে ব্রাদার্স।
ব্যাট হাতে ৫৫ বলে ৮১ রানের সঙ্গে শেষ দিকে ১ উইকেট নিয়ে গাজী গ্রুপের নায়ক হাবিবুর। এছাড়া সাব্বির ৭৪, আনিসুল ৬৫ ও আল আমিন খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। বল হাতে ৪ উইকেট নেন আব্দুল গাফফার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মেহেদি মারুফের উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ বলে ১৩৩ রান যোগ করেন আনিসুল ও হাবিবুর। তিন ওভারের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফেরেন দুজন। ৯ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কা মারেন হাবিবুর। ৬৩ বলে আনিসুলের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ২ ছক্কা।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ১১৪ রানের জুটি গড়েন আল আমিন ও সাব্বির। ৬৪ রান করে আল আমিনের বিদায়ের পর দলকে তিনশ পার করান সাব্বির। ৭৪ রানের ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন তিনি।
রান তাড়ায় ব্রাদার্সের কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন আব্দুল মজিদ। এছাড়া আরও সাত ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেও কেউই ত্রিশ রান করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৫০ ওভারে ৩৪৪/৭ (মেহেদি ২, আনিসুল ৬৫, হাবিবুর ৮১, সাব্বির ৭৪, আল আমিন ৬৪, মইন ২৭, গাফফার ১০, মাহফুজুর ০*, পারভেজ ২*; রাহাতুল ১০-০-৫৬-৩, আবু জায়েদ ৬-০-৬২-১, নাঈম ১০-০-৬৪-০, মনির ১০-০-৬৮-১, রহমতউল্লাহ ৬-০-৪৩-০, জুবায়ের ৬-০-৩২-১, মাহমুদুল ২-০-১৭-০)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: (লক্ষ্য ৪১ ওভারে ৩০৯) ৪০.৩ ওভারে ১৭৮ (রহমতউল্লাহ ২৬, মজিদ ৫১, ইমতিয়াজ ১২, মাহমুদুল ২৪, মারাজ ৩, রাহাতুল ১৩, শাকিল ৭, মনির ১০, আবু জায়েদ ১৫, নাঈম ১০, জুবায়ের ০*; রুয়েল ৮-০-২৩-১, মাহফুজুর ৬-০-৪৫-০, হুসনা হাবিব ৯-০-৩৩-১, গাফফার ৮-০-৩৪-৪, মইন ৩-০-১৩-০, পারভেজ ৪-১-১৩-২, আনিসুল ২-০-১১-১, হাবিবুর ০.৩-০-৪-১)
ফল: ডিএলএস পদ্ধতিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১৩০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: হাবিবুর রহমান