বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের দাপুটে জয়ের দিনে রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকটি।
Published : 06 Oct 2023, 12:44 AM
ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে নিউ জিল্যান্ড। আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবারের এই ম্যাচে রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকটি।
>> ২৮৩ রানের লক্ষ্য নিউ জিল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলে ৩৬.২ ওভারে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্রুততম ২৫০ বা এর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় এটি। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ২০১৫ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত ২৬০ রান তাড়া করে জিতেছিল ৩৬.৫ ওভারে।
>> দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৭৩ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে ও রবীন্দ্র। বিশ্বকাপে যে কোনো উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ এবং নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ১৯৯৬ আসরে চতুর্থ উইকেটে লি জার্মন ও ক্রিস হ্যারিসের ১৬৮ রানের জুটি ছিল কিউইদের আগের রেকর্ড।
>> এই ম্যাচে কনওয়ের অপরাজিত ১৫২ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তার ওপরে আছে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মার্টিন গাপটিলের অপরাজিত ২৩৭ ও ১৯৭৫ আসরে ইষ্ট আফ্রিকার বিপক্ষে গ্লেন টার্নারের অপরাজিত ১৭১।
>> বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেড়শ রানের ইনিংস খেলা প্রথম ব্যাটসম্যান কনওয়ে। ২০১৫ আসরে শ্রীলঙ্কার লাহিরু থিরিমান্নের অপরাজিত ১৩৯ ছিল আগের সর্বোচ্চ।
>> এই ম্যাচের দিন রবীন্দ্রর বয়স ২৩ বছর ৩২১ দিন, বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান তিনি। তার আগে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন ন্যাথান অ্যাস্টল, ২৪ বছর ১৫২ দিন। ১৯৯৬ আসরে তিনিও সেঞ্চুরি করেছিলেন আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
>>বিশ্বকাপের একই ম্যাচে এই প্রথম নিউ জিল্যান্ডের একাধিক ব্যাটসম্যান শতকের স্বাদ পেলেন।
>> এ দিন ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। ছেলে কিংবা মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ম্যাচে কোনো দলের ১১ ব্যাটারই অন্তত ১০ রান করলেন। এর আগে ১০ জনের দুই অঙ্ক ছোঁয়ার নজির দেখা গেছে পাঁচবার।