চলতি বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়া নিয়ে এখনও কিছু ভাবেননি প্যাট কামিন্স। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য আইপিএলকে কাজে লাগাতে চান অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার।
গত বছর অ্যারন ফিঞ্চের অবসরে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পান কামিন্স। তখন টিম ম্যানেজমেন্টের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতে চলমান বিশ্বকাপ। কামিন্সের অধিনায়কত্বে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে দারুণ খেলছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও টানা সাত জয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বৃহস্পতিবার সেরা চারের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ম্যাচের আগে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন এলে, নিশ্চিত করে কিছু জানাননি কামিন্স।
“আমি, অ্যান্ড্রু (ম্যাকডোনাল্ড, প্রধান কোচ) ও জর্জ (বেইলি, নির্বাচক কমিটির প্রধান) আমাদের মধ্যে সব কিছু উন্মুক্ত। বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আপনার ভিন্ন ভিন্ন অগ্রাধিকার থাকতে পারে।”
“বিশ্বকাপের পর বেশ কিছু দিনের জন্য মনোযোগ দেওয়া হবে টেস্ট ক্রিকেটে। অতীতেও আমরা যেমন করেছি, টেস্টের জন্য আমরা সাদা বলের ক্রিকেটকে এক পাশে রাখি। তো হ্যাঁ, আপাতত (অধিনায়কত্ব অধ্যায়) শেষ করার কোনো সময় ভাবিনি।”
ঘরের মাঠে গত বছর বিশ্বকাপের পর আর কোনো স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলেননি কামিন্স। তাই আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে আইপিএলকে কাজে লাগাতে চান ৩০ বছর বয়সী পেসার।
“আমার মনে হয়, আমি খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলিনি। কখনও মনে হয়, গত কিছু দিনে আমি নিজের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা খেলিনি আমি।”
“আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। আগামী বছরের আইপিএলের জন্য নিলামে নাম দেব সম্ভবত। বিশ্বকাপের আগে সেখানে (আইপিএল) কিছু ম্যাচ খেলে শুধু দলে জায়গা পাওয়ারই নয়, টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরা ছন্দে বোলিং করার অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করব।”
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফিঞ্চ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের জায়গাও শূন্য হয়ে যায়। এই সংস্করণে দায়িত্ব দেওয়া হয় মিচেল মার্শকে। তার নেতৃত্বেই আগামী বছরের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা অস্ট্রেলিয়ার।