বিব্রতকর এক রেকর্ড সঙ্গী হলো হারিস রউফের। বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার এখন পাকিস্তানের এই পেসার।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শনিবার প্রথম রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন রউফ। আসরে ৯ ইনিংসে তিনি রান দিয়েছেন ৫৩৩।
বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড এতদিন ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষেই খেলা আদিল রশিদের। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠের আসরে ১১ ইনিংসে ৫২৬ রান দিয়েছিলেন ইংলিশ লেগ স্পিনার।
চলতি আসরে ৯ ইনিংসে ৫২৫ রান দিয়ে তালিকার তিন নম্বরে আছেন শ্রীলঙ্কার পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা।
এক আসরে পাঁচশ রান দেওয়ার নজির আছে আর মাত্র একজনের। ২০১৯ আসরে ১০ ইনিংসে ৫০২ রান দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক।
রউফের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের দিনে দারুণ এক অর্জন ধরা দিয়েছে পাকিস্তানের আরেক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির। এই ম্যাচে ৭৩ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট।
আসরে ৯ ইনিংসে আফ্রিদির উইকেট সংখ্যা ১৮, পাকিস্তানের কোনো পেসারের বিশ্বকাপের এক আসরে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ১৯৯২ আসরে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াসিম আকরাম।
পেস-স্পিন মিলিয়ে বিশ্বকাপের এক আসরে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড শাহিদ আফ্রিদির, যিনি সম্পর্কে শাহিন আফ্রিদির শশুর। ২০১১ আসরে ২১ উইকেট নিয়েছিলেন লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি।
জনি বেয়ারস্টো, জো রুট ও বেন স্টোকসের ফিফটিতে এ দিন ৫০ ওভারে ৩৩৭ রানের পুঁজি গড়ে ইংল্যান্ড।
প্রথম ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন রুট। ২৫ ইনিংসে তার রান এখন ১ হাজার ৩৪। ৮৯৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন গ্রাহাম গুচ।
বিশ্বকাপে রুটের পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস হলো ৯টি, ইংল্যান্ডের হয়ে গুচের সঙ্গে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের রেকর্ডে ওয়েন মর্গ্যানের পাশেও বসেছেন রুট, দুজনেরই ৫৫টি করে।