নেদারল্যান্ডস কোচ রায়ান কুকের বিশ্বাস, লঙ্কানদের চ্যালেঞ্জ সামলাতে প্রস্তুত তার দল।
Published : 19 Oct 2022, 03:30 PM
প্রাথমিক পর্বে গ্রুপের শেষ রাউন্ডের লড়াইয়ের আগে প্রায় একই সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কা। ডাচরা জিতে গেলে তারা হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। হেরে গেলে আবার পড়ে যাবে বাদ পড়ার শঙ্কায়। লঙ্কানদের জন্যও হিসাবটা প্রায় একই। শক্তিমত্তা ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের কোচ রায়ান কুক অবশ্য শোনালেন আত্নবিশ্বাসের কথা।
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে মনোবল চাঙ্গা থাকার কথা শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশের সাবেক ফিল্ডিং কোচ মনে করেন, এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের চ্যালেঞ্জ সামলাতে প্রস্তুত তার দল।
টানা দুই ম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রপে শীর্ষে আছে নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচে তারা আমিরাতকে ৫ উইকেটে হারানোর পর নামিবিয়ার বিপক্ষেও রান তাড়ায় জেতে একই ব্যবধানে।
তারপরও তাদের বিশ্বকাপে পথচলা শেষ হয়ে যেতে পারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে গেলেই।
দুই রাউন্ড শেষে ডাচদের পয়েন্ট ৪। শ্রীলঙ্কার সমান ২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে নামিবিয়া।
নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস যদি হেরে যায় আর আমিরাতের বিপক্ষে নামিবিয়া যদি জয় পায়, তাহলে নেট রান রেটে পিছিয়ে বাদ পড়বে কুকের দল। তাদের সামনে আরেকটি সুযোগও অবশ্য আছে সুপার টুয়েলভে খেলার; অপ্রত্যাশিত কোনো কারণে বৃহস্পতিবারের দুই ম্যাচের একটি যদি পরিত্যক্ত হয়ে যায়!
নেদারল্যান্ডসের কাজটা কঠিন করে দিতে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে হারের পর আমিরাতের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে তারা ইঙ্গিত দিয়েছে ফর্মে ফেরার। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে ডাচদের মরণ কামড় বসাতে প্রাণপণ লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে দলটি।
এমন একটি ম্যাচে স্নায়ুচাপ সামলে রাখাই সবচেয়ে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কুকও বললেন, তাদের লক্ষ্য থাকবে মাঠে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করা।
“আমি মনে করি, এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা ম্যাচ হবে। নিঃসন্দেহে তারা ভালো দল এবং এশিয়া কাপ থেকে ভাল ফর্মেও আছে। ছেলেরা ম্যাচটি খেলতে মুখিয়ে আছে, কিন্তু আমরা জানি কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।”
“শুরু থেকেই আমাদের প্রস্তুতি দারুণ হয়েছে। প্রতিটি দল সম্পর্কে আমরা ভালোভাবে জানি এবং গত বছরের তুলনায় আমরা লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। তাই ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী ম্যাচটি খেলার জন্য এবং আমাদের পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়েও স্পষ্ট।”
নেদাল্যান্ডসের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হতে পারেন শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণের সেরা দুই অস্ত্র ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহেশ থিকশানা। আমিরাতের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন দুজনই। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে একটি মেডেন দিয়ে স্রেফ ৮ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। থিকশানা ২ উইকেট পান ১৫ রানে।
কুক অবশ্য এই দুজনকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। তার বিশ্বাস, অভিজ্ঞতার আলোকে হাসারাঙ্গা ও থিকশানাকে সামলাবে তার দল।
“আমাদের কোচিং স্টাফে কয়েকজনকে পেয়েছি, যারা হাসরাঙ্গার সাথে খেলেছে। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা গত বছর খেলেছিও। তাই সামনে কী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, ছেলেরা সে সম্পর্কে সচেতন। অবশ্যই তাদের জন্য আমাদের পরিকল্পনা থাকবে এবং ম্যাচের দিন যতটা সম্ভব তা কার্যকর করার চেষ্টা করব।”