‘আফ্রিদি থাকলে ভিন্ন ফল হতে পারত’

ম্যাচের শেষ দিকে শাহিন শাহ আফ্রিদির ছিটকে যাওয়ার আক্ষেপ ঝরল বাবর আজমের কণ্ঠে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2022, 03:10 PM
Updated : 13 Nov 2022, 03:10 PM

ওভারের শুরুতে রান-আপের সময়ই অস্বস্তি দেখা দিল শাহিন শাহ আফ্রিদির মাঝে। দৌড়ে বোলিং ক্রিজে গিয়েও থেমে গেলেন তিনি। নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে অবশ্য একটি বল করতে পারলেন বাঁহাতি এই পেসার। এরপর আর পারলেন না, চোট নিয়ে ধীর পায়ে ছাড়লেন মাঠ। পাকিস্তানের সম্ভাবনাও যেন শেষ হয়ে গেল সেখানেই। এক ঝটকায় ম্যাচ বের করে নিল ইংল্যান্ড। মাতল বিশ্ব জয়ের উল্লাসে। 

মেলবোর্নে রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার এই সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। 

স্বাভাবিকভাবেই পরাজয়ের হতাশায় পুড়ছেন বাবর আজম। আক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, শেষ দিকে আফ্রিদি চোটে না পড়লে ফল তাদের পক্ষেও যেতে পারত। 

হাঁটুর চোট কাটিয়ে এই বিশ্বকাপ দিয়েই ফেরেন আফ্রিদি। আসরের শুরুতে ছন্দের খোঁজে থাকা এই পেসার স্বরূপে ফিরতে দেরি করেননি। ফাইনালের আগে তিন ম্যাচ ধরেন ৯ শিকার। 

ফাইনালে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা দলকে এনে দিতে পারেননি বড় পুঁজি। তবে ১৩৭ রানের সংগ্রহ নিয়েই ম্যাচ জমিয়ে তোলেন দলটির বোলাররা। যার সুরটা বেঁধে দেন আফ্রিদিই। প্রথম ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন তিনি অ্যালেক্স হেলসকে। প্রথম স্পেলে দুই ওভার করে দেন কেবল ১২ রান। 

ডেথ ওভারের জন্য তার ভরসায় ছিলেন বাবর। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ফিল্ডিংয়ে। ত্রয়োদশ ওভারে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পান হাঁটুতে। 

দ্বিতীয় স্পেলে ষোড়শ ওভারে যখন আক্রমণে এলেন আফ্রিদি, ৩০ বলে ৪১ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ফেভারিট তারাই। আফ্রিদির দুই ওভারে দারুণ কিছুর আশায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু এক বল করেই পাকিস্তানের বোলিং বিভাগের সেরা অস্ত্র মাঠ ছাড়লে নিভে যায় দলটির আশার বাতিও। 

আফ্রিদির জায়গায় বোলিংয়ে আসা ইফতিখার আহমেদের অফ স্পিনে একটি করে ছক্কা-চার মারেন বেন স্টোকস। ম্যাচের ফয়সালা অনেকটা হয়ে যায় সেখানেই। শেষ পর্যন্ত ৬ বল বাকি থাকতেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় ইংলিশরা। 

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবরের কণ্ঠে ঝরল আফ্রিদিকে না পাওয়ার আফসোস। 

“আমাদের বোলিং বিশ্বের সেরা আক্রমণগুলোর একটি। আমরা যেভাবে প্রথম ৬ ওভার শুরু করেছিলাম...কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত শাহিন ইনজুরিতে পড়ে গেল। নইলে ভিন্ন ফল হতেও পারত। তবে এটি খেলারই অংশ।” 

পরে সংবাদ সম্মেলনেও পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, আফ্রিদির চোট ম্যাচের ফলে বড় প্রভাব রাখার কথা। 

“আমার মনে হয়, আমরা ২০ রান কম করেছি। তবে প্রথম ৬ ওভারে আমাদের বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে, আমরা সম্ভবত মাঝের সময়টায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু শাহিনের চোটের পর ইংল্যান্ডের দিকে ম্যাচ ঘুরে যায়। আমাদের দল যেভাবে পারফরম্যান্স করেছে, তাতে আমি খুশি।”