এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচে আদিল রশিদ বোলিং তেমন ভালো করতে পারেননি। পাননি কোনো উইকেটও। অবশেষে সেই স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার। দলের বাঁচা-মরার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা তিনিই।
সিডনিতে রোববার সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড।
লঙ্কানদের ১৪১ রানে আটকে রাখতে বড় অবদান রাখেন রশিদ। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ স্কোরার পাথুম নিসানকার (৪৫ বলে ৬৭) উইকেট নেন তিনি। ডট বল করেন ১১টি, হজম করেননি কোনো চার-ছক্কা।
৮৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে রশিদ এই নিয়ে স্রেফ দুইবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন। আর বিশ্বকাপে ২০ ম্যাচে প্রথম।
আগে একবার তিনি এই স্বাদ পেয়েছিলেন ২০১৮ সালে, এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের ২৮ রানে জয়ের ম্যাচে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রশিদ ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৩২ রান। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৪ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে পেয়ে ৩৪ বছর বয়সী এই স্পিনার দেন স্রেফ ২ রান। পরের ওভারে এসে দেন ৬ রান।
রশিদ বোলিংয়ে ফেরেন আবার চতুর্দশ ওভারে। এবারও যথারীতি ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখেন, দেন ৪ রান।
ইনিংসের ষোড়শ আর নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে তিনি ফিরিয়ে দেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা নিসানকাকে। উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন শ্রীলঙ্কান ওপেনার।
এই ওভারে ৪ রান দিয়ে উইকেটটি নেন রশিদ।
৩ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার যদিও পেসার মার্ক উড। রান তাড়ায় অ্যালেক্স হেলস ৩০ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে বেঁধে দেন সুর। পরে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে তারা চাপে পড়ে গেলে ৩৬ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসে ২ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে ফেরেন বেন স্টোকস।
তাদের সবাইকে ছাপিয়ে ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ রশিদ।