ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যাত্রা শুরু করল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
Published : 12 Mar 2024, 05:21 PM
নতুন বলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে চেপে ধরলেন আল আমিন হোসেন। বাঁহাতি স্পিনে তার সুরে দারুণ সঙ্গত করে প্রতিপক্ষকে বেশি দূর যেতে দিলেন না শহিদুল ইসলাম। রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করলেন তৌফিক খান। পরে সাদমান ইসলামের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অনায়াস জয় পেল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ২০৩ রানের লক্ষ্য ৮৪ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলেছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দল।
পাওয়ার প্লেতে চমৎকার সুইং বোলিং করা আল আমিন ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট। মাঝের ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শহিদুল ৩৫ রান খরচায় ধরেন ৩ শিকার। রূপগঞ্জের সহজ জয়ে যৌথভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তারা দুজন।
রান তাড়ায় রূপগঞ্জকে এগিয়ে দেন তৌফিক। স্রেফ ৪২ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আরেক ওপেনার সাদমানের ব্যাট থেকে আসে ৮৮ বলে ৬৭ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ বলে ৯৪ রান যোগ করেন দুজন।
শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন তৌফিক ও সাদমান। তৃতীয় ওভারে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ৩টি চার মারেন সাদমান। ষষ্ঠ ওভারে মনির হোসেনের বলে ৩ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কায় ২৪ রান নেন তৌফিক।
নবম ওভারে মাহমুদুল হাসানের বলে ৪ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন তৌফিক। স্রেফ ৩৪ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। পাওয়ার প্লেতে রূপগঞ্জ করে ৯৫ রান।
দ্বাদশ ওভারে রাহাতুল ফেরদৌসকে ছক্কায় উড়িয়ে পরের বলে এলবিডব্লিউ হন তৌফিক। সব মিলিয়ে ৯ চার ও ৪টি ছক্কা মারেন তিনি।
এমন উড়ন্ত শুরুর পর আর চাপে পড়তে হয়নি রূপগঞ্জকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬৯ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান সাদমান। চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মুমিনুল বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এতে অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি।
জয় থেকে ১৮ রান দূরে থাকতে ফেরেন সাদমান। শামীম হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন আমিনুল ইসলাম।
দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নেয় ব্রাদার্স। তৃতীয় ওভারে দারুণ ইন সুইংয়ে রহমতউল্লাহ ও আব্বাস মুসাকে বোল্ড করেন আল আমিন। প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় ব্রাদার্স।
পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল। ৮৭ বলে তারা গড়েন ৬২ রানের জুটি। ২৫তম ওভারে দুজনকেই ফেরান স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা শহিদুল। মাহমুদুল খেলেন দলের সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস।
এরপর মনির হোসেনের ৩৭ রানের সৌজন্যে দেড়শ পার করে ব্রাদার্স। নবম উইকেট ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে দুইশ পার করান নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও আবু জায়েদ রাহী। তবে শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৭.২ ওভারে ২০২ (ইমতিয়াজ ১০, রহমতউল্লাহ ৩, আব্বাস ০, মাহমুদুল ৪২, মজিদ ৪, রাহাতুল ১৭, মারাজ ২১, মনির ৩৭, নাঈম ১৮, আবু জায়েদ ২৯, সালাউদ্দিন ০*; আল আমিন ১০-২-৪৩-৩, আলাউদ্দিন ৯-১-২৫-১, রিজওয়ান ৯-২-২৯-২, নিহাদউজ্জামান ৫-০-৩৯-০, শুভাগত ২.২-০-১০-১, শহিদুল ১০-১-৩৫-৩, আমিনুল ২-০-১৬-০)
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৩৬ ওভারে ২০৪/৪ (তৌফিক ৬৬, সাদমান ৬৭, রিজওয়ান ৮, মুমিনুল ১৬, আমিনুল ২১*, শামীম ১১*; আবু জায়েদ ৪-০-২০-০, সালাউদ্দিন ২-০-১৭-০, মনির ৫-০-৩৮-১, মাহমুদুল ৭-০-৫৬-০, রাহাতুল ১০-০-৪০-৩, নাঈম ৪-০-২১-০, রহমতউল্লাহ ৩-০-৯-০, ইমতিয়াজ ১-০-২-০)
ফল: লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আল আমিন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম।