প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে দল ভালো কিছু চায়, বললেন বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট।
Published : 09 Dec 2022, 07:50 PM
প্যাভিলিয়ন প্রান্তের নেটে রাসেল ডোমিঙ্গোর সঙ্গে অনুশীলনে মনোযোগী মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রেসবক্সের কাছের দুই নেটে ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমটের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, এনামুল হক, ইয়াসির আলি চৌধুরী। শান্ত, এনামুলদের ঝোঁক দেখা গেল উড়িয়ে মারায়। পাশের নেটে পালাবদল করে আফিফ-ইয়াসির খেললেন দেখেশুনে। শেষ দিকে হাত খুলে শট খেলতে দেখা গেল তাদেরও।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশের ঐচ্ছিক অনুশীলন হলেও উপস্থিত ছিলেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের অনেকে। নেটে কাটালেন লম্বা সময়। নিজেদের ঝালিয়ে নিলেন তারা শেষ ওয়ানডের চ্যালেঞ্জের জন্য।
প্রথম দুই ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে তাতে মূল ব্যাটসম্যানদের অবদান সামান্য। মেহেদী হাসান মিরাজের ভূমিকা সেখানে অসামান্য। এবার ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার অভিযানে দল তাকিয়ে ওই ব্যাটসম্যানদের দিকে।
প্রথম ম্যাচে স্রেফ ১৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মিডল অর্ডারের ধসে ৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে ৯ উইকেটের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বীরত্বে সেদিন মেলে রক্ষা।
পরের ম্যাচেও বদলায়নি অবস্থা। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় দল। সেদিন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১৪৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বাঁচান মিরাজ।
মিরপুরের উইকেটে ব্যাটসম্যানদের কাজটাও অবশ্য সহজ ছিল না। তৃতীয় ওয়ানডের ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই থাকার কথা।
ম্যাচের আগের দিন দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট বললেন, ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে ভালো কিছুর আশায় দল।
“আমাদের জন্য এটি বরাবেরর (টপ অর্ডারের ব্যর্থতা) দুর্ভাবনা। এখানে (চট্টগ্রাম) উইকেট ভালো হবে, শট খেলার প্রতিদান বেশি মিলবে। বাউন্সও আরও বেশি সমান হবে। ব্যাটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিকের কথা চিন্তা করলে, মূল লক্ষ্যটা থাকবে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউ যাতে ৪০ ওভার পর্যন্ত থাকে, ম্যাচ যত গভীরে নিয়ে যাওয়া যায়।”
“প্রথম ২০ বলের কঠিন সময়টা ছেলেরা ঠিকই পার করে দিচ্ছে, যে সময়টায় ব্যাটিং সবচেয়ে কঠিন। পরের ধাপ হলো ওই ২০ বলকে ৫০-১০০ বলে রূপান্তরিত করা, সেগুলোকে ম্যাচজয়ী ইনিংসে পরিণত করা। শুরুর পাঁচ জনের কাউকে সেটি করতে হবে।”
তবে দায়িত্বটা টপ অর্ডারের বেশি থাকলেও পরের ব্যাটসম্যানদের গুরুত্বও তিনি কম মনে করছেন না। মিরাজ প্রথম দুই ম্যাচে যা দেখিয়েছেন, এটিকে দলীয় সংস্কৃতির উন্নতির প্রকাশ হিসেবেই দেখছেন ম্যাকডারমট।
“হ্যাঁ, দায়িত্বটা প্রথম পাঁচ ছয় জনের ওপরই থাকে। তবে ব্যাটার তো সবাই। আমাদের এখনকার আট নম্বরের (মেহেদী হাসান মিরাজ) দিকে তাকান। তার আত্মবিশ্বাস দারুণ। আমরা এমন একটা সংস্কৃতিই তৈরি করতে চাচ্ছি, যেখানে ৮ নম্বর ও ১১ নম্বর আমাদের ম্যাচ জেতাতে পারবে।”