Published : 06 Nov 2022, 03:17 PM
শুরুটা মন্দ ছিল না। ইনিংসের মাঝপথে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১২৭ রানে থেমে যায় দলের ইনিংস। ম্যাচ শেষে তাই আরও ২০ রান করতে না পারার পুরোনো আক্ষেপ শোনা গেল সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে।
অ্যাডিলেইডে রোববার কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত হওয়া সুপার টুয়েলভের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
টস জিতে করতে নেমে ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৭০। সেখান থেকে পরের ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৫৭ রান করতে পেরেছে তারা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে সাকিব জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দিনের প্রথম ম্যাচ দেখে তাদের আশা ছিল ১৪৫-১৫০ রান করার। কিন্তু থিতু ব্যাটসম্যানরা ইনিংস এগিয়ে নিতে না পারায় সেটি হয়নি বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“ইনিংসের মাঝপথে আমরা ৭০ রানে ১ উইকেট ছিলাম। সেখান থেকে আমরা ১৪৫-১৫০ রানের কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে যেমনটা দেখেছি, এই উইকেটে সেটি ভালো সংগ্রহ হতো। শেষ দশ ওভারে রান করা কঠিন। আমরা জানতাম নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য এটি সহজ হবে না। তাই থিতু ব্যাটসম্যানদের ক্যারি করে ইনিংস শেষ করা জরুরি ছিল। যা হয়নি।”
পরে মিক্সড জোনে একই কথা বলেছেন আফিফ হোসেন। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার মিছিলে ২০ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আরেকজন থিতু ব্যাটসম্যান থাকলে ১৫০ রানের কাছাকাছি যাওয়ার লক্ষ্য ছিল তার।
“উইকেটে যখন ছিলাম... একের পর এক উইকেট পড়ছিল। তখন লক্ষ্য ছিল একটা থিতু ব্যাটসম্যান যদি থাকে, (নাজমুল হোসেন) শান্ত ভাই থাকলে ভালো হতো... উইকেটটা পড়ে গেছে। তারপর আমাদের লক্ষ্য ছিল যে কয় ওভার আছে, ওগুলো কাজে লাগিয়ে রানটা যেন ১৫০ এর আশপাশে যেতে পারি। তাহলে ভালো হতো।”
নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে দুইটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই সার্বিক বিবেচনায় এবারের আসর যে তাদের সেরা বিশ্বকাপ, সেটি আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাকিব। তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
“ফলের দিক থেকে চিন্তা করলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই আমাদের সেরা আসর। আমি মনে করি, আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমাদের সেই সুযোগ ছিল। নতুন ছেলেরা এসেছে, অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে... তাদের কাছ থেকে অন্ততপক্ষে এটুকুর আশা ছিল আমাদের।”