Published : 04 May 2025, 08:17 PM
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সাফল্যের রেশ থাকতেই মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য একটু ধাক্কা। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরে বাংলাদশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পাননি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এই সংস্করণে বোলিংয়ের ঘাটতিই তাকে দল থেকে ছিটকে দিয়েছে, জানালেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর থেকে এই সংস্করণে জাতীয় দলে কখনও নিয়মিত হতে পারেননি মিরাজ। গত বছরের ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে থাকলেও উল্লেখযোগ্য অবদান তিনি রাখতে পারেননি।
সবশেষ বিপিএলে অবশ্য খুলনা টাইগার্সের তৃতীয় হওয়ার পথে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন অফ স্পিন অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে ১৩২.৯৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৫৫ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ওভারপ্রতি ৭.৭১ রান খরচায় তিনি নেন ১৩ উইকেট। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে মিরাজই ছিলেন বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার।
তবে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে কখনও ততটা ভালো করতে পারেননি ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। বিশেষ করে বোলিংয়ে তার ওপর নির্ভর করতে পারেনি দল।
প্রায় সাত বছরের ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত খেলা ২৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৬টিতে পূর্ণ ৪ ওভার বোলিং করতে পেরেছেন মিরাজ। সবশেষ ৯ ম্যাচে একবারও তার কোটা পূর্ণ করাতে পারেননি কোনো অধিনায়ক। এর মধ্যে তিন ম্যাচে এক ওভারও বোলিং পাননি তিনি।
সব মিলিয়ে ২৬ ইনিংস বোলিং করে মিরাজের উইকেট মাত্র ১৪টি। ওভারপ্রতি রান খরচ গড়ে সাড়ে আটের বেশি। অন্তত এক ওভার বোলিং করা ১৮ ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
আপাতত তাই আরেক অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানকে এগিয়ে রেখেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন প্রধান নির্বাচক।
“এখানে (টি-টোয়েন্টি) যে পাঁচটা বোলার থাকে, তাদের চার ওভার বোলিং করতে হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদি কিছুটা এগিয়ে আছে। আমাদের হাতে যদি সুযোগ থাকত, নাহিদ রানা যথাসময়ে দলের সঙ্গে আছে, তাহলে কিন্তু পাঁচ পেসারের জায়গায় চার পেসার নিতে পারতাম। সেখানে একজন ব্যাটসম্যান বাড়াতে পারতাম। সেই সুযোগটা আমাদের ছিল না।”
আপাতত পাকিস্তান সুপার লিগে ব্যস্ত নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। টুর্নামেন্টে নিজেদের দলের পথচলা বুঝে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তারা। দুই দলই ফাইনাল খেললে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তাদের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই। তাই পাঁচ পেসার নিয়ে ১৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। যেখানে জায়গা পাননি মিরাজ।