Published : 04 May 2025, 05:06 PM
সবশেষ সিরিজে যিনি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে, সেই লিটন কুমার দাস এখন দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যানকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে শেখ মেহেদি হাসানকে। তবে তার এই দায়িত্ব শুধু সামনের সফরের জন্য।
নেতৃত্বে না থাকলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের দলে টিকে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৬ সদস্যের দলে সবশেষ সিরিজ থেকে জায়গা পাননি পাঁচজন, দলে এসেছেন ছয়জন। টি-টোয়েন্টি দলে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা।
শান্তর টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স ভীষণ বিবর্ণ। প্রশ্ন আছে তার টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য নিয়েও। সবশেষ বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৫ ইনিংসে ৫৬ রান করার পর আর সুযোগই পাননি দলে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ ম্যাচ খেলে তার মোট রান ২২.৮৫ গড়ে ৯৬০, স্ট্রাইক রেট মোটে ১০৮.৩৫। তার পরও তাকে দলের রাখার কারণ হিসেবে অভিজ্ঞতার কথা জানালেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
টি-টোয়েন্টিতে শান্তর পারফম্যান্স ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি নিজেই বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে বলেছিলেন এই সংস্করণে অধিনায়কত্ব আর চালিয়ে যেতে চান না। সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসবে লিটনের সম্ভাবনা নিয়েই জোর গুঞ্জন ছিল। বাংলাদেশ সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোটের কারণে শান্ত না থাকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। দল সিরিজ জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে।
লিটনের নিজের ফর্মও অবশ্য ভালো নয়। সবশেষ সিরিজে তিন ইনিংসে তার রান ছিল ১৭। সবশেষ ২৪ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে তার ফিফটি স্রেফ একটি।
শান্ত ছাড়াও দলে ফিরেছেন তাওহিদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভির ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। শান্তর মতোই চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ছিলেন না হৃদয়, পারিবারিক কারণে ছিলেন না মুস্তাফিজ।
বাদ পড়াদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়াও জায়গা হারিয়েছেন আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও রিপন মন্ডল। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, সবশেষ সিরিজে স্রেফ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য নেওয়া হয়েছিল রিপনকে, খেলানোর জন্য নয়।
আগামী ১৭ ও ১৯ মে শারজাহতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু ২৫ মে।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল:
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), শেখ মেহেদি হাসান, তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।
বাদ: মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ, রিপন মন্ডল।
চোট: তাসকিন আহমেদ।
নতুন: নাহিদ রানা।
ফেরা: তাওহিদ হৃদয়, তানভির ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত।