Published : 04 May 2025, 10:29 PM
এক উপদেষ্টার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), আরেক উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি পান যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি।
দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি পান এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরও।
তাদের বিরুদ্ধে কেনাকাটায় অনিয়ম, বদলি বাণিজ্য এবং পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় ‘কমিশন বাণিজ্যের’ মতো অভিযোগ রয়েছে।
এ তিনজনের বিষয়ে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অনুসন্ধানের পর প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।”
গত ২৭ এপ্রিল তাদের দুর্নীতির বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরুর তথ্য দিয়েছিল দুদক।
সেদিন সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের দাবি তোলে। তারা মিছিল নিয়ে দুদক কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্মারকলিপিও দেয়।
একই দিন বিকালে মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসান ও সাবেক পিও তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে ‘শত শত কোটি টাকার’ দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদকে অনুসন্ধানের আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী।
গত ২২ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও উপদেষ্টা নিজে তাকে ৮ এপ্রিলই অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ২১ এপ্রিল এনসিপি থেকে গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তার নাম উঠে আসে।