টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচের ভাবনায় ভালোভাবেই আছেন নতুন এই পেস সেনসেশন।
Published : 01 Feb 2024, 05:46 PM
টেস্ট অভিষেকে চমক জাগানো শামার জোসেফের দিকে তাকিয়ে আছেন ড্যারেন স্যামিও। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন এই বোলিং সেনসেশনের ঝলক দেখতে উন্মুখ এই দুই সংস্করণের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ।
সাদা বলে খুব বেশি ক্রিকেট খেলেননি গায়ানার দুর্গম গ্রাম থেকে উঠে আসা শামার। দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে এখনও উইকেটের দেখা পাননি এই পেসার। দুটি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ খেলে নিয়েছেন দুটি উইকেট।
সাদা বলে শামার কেমন করবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া চোটের জন্য আপাতত মাঠের বাইরে আছেন তিনি। নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন আইএল টি-টোয়েন্টি থেকে। ২৪ বছর বয়সী পেসার মাঠে ফিরতে পারেন আসন্ন পিএসএল দিয়ে।
অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শামারের। প্রথম টেস্টে নেন ৫ উইকেট। পরের ম্যাচে গ্যাবায় চোট নিয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দেন অভাবনীয় জয়। মাঠের বাইরে ছিটকে না গেলে তাকে সীমিত ওভারের দুটি সিরিজেও খেলানোর চিন্তায় ছিলেন স্যামি।
“সে অবশ্যই সব সংস্করণের খেলোয়াড় হবে। স্কোয়াডে তাকে পেতে আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি। তবে সব কিছুরই একটা প্রক্রিয়া আছে। আমি ও নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যানও এভাবেই কাজ করি। শামার যা করেছে, আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য এবং ওয়ানডে দল গঠনের জন্য আমাকে মধুর সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি করে ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে আগে থেকেই নেই শামার। তার খেলতে যাওয়ার কথা ছিল আইএল টি-টোয়েন্টিতে। তবে স্যামি জানান, সীমিত ওভারের স্কোয়াডে শামারকে যুক্ত করা নিয়ে আলোচনা চলছিল তাদের মধ্যে। চোট পাওয়ায় পুনর্বাসনের জন্য দেশে পাঠানোই সঠিক কাজ বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
“এখানে যা ঘটেছে সেই সাফল্য আমরা উপভোগ করেছি। তবে এর জন্য আমরা দিকভ্রান্ত হবো না। যদি একজন চোট পায়, তাকে দেশে ফিরে বিশ্রাম নিতে দেওয়া উচিত।”
শামারের দারুণ বোলিংয়ে ২১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাসমান সাগর পারের দেশটিতে এই সংস্করণে জয় পেয়েছে ২৭ বছর পর। স্যামি মনে করেন, শামারের এই পারফরম্যান্স তার অনভিজ্ঞ ওয়ানডে দলকেও উজ্জ্বীবিত করবে।
“যখন কেউ এই ধরনের পারফরম্যান্স করে, তখন দল জেগে উঠে। আর এটা দেখার জন্য দারুণ। যখনই এই ব্যাপারটায় ফিরে তাকাব, আমার মুখে হাসি ফুটবে। আশা করি, আমার ছেলেরা যখনই কোনো চ্যালেঞ্জ দেখবে তখন মনে রাখবে, কঠোরভাবে চেষ্টা করলে সবসময়ই সাফল্য আসে।”