উইকেট যেমনই হোক না কেন, সতীর্থদেরকে নিজেদের খেলার ধরনে আস্থা রেখে লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের তাগিদ দিলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি।
Published : 05 Dec 2023, 08:10 PM
সিলেটের উইকেটেই বাংলাদেশের স্পিন সামলাতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। মিরপুরে তো সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হওয়ার কথা। নিজেদের খেলার ধরনে অবশ্য আস্থার কমতি নেই টিম সাউদির। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের স্রেফ চাওয়া, সিলেটের ব্যাটিংয়ের ধরনই যেন আরেকটু লম্বা সময় ধরে রাখতে পারেন তার দলের ব্যাটসম্যানরা।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ম্যাচের আগের দিন এই মাঠের উইকেটের আচরণ নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বলেছেন স্বাগতিক দলের প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। তবে দুই-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে মিরপুরের মাঠে সবসময় ছড়ি ঘুরিয়েছেন স্পিনাররা।
ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন উইকেটে প্রায়ই দেখা যায়, পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন অনেক ব্যাটসম্যান। কখনও এতে মেলে সাফল্য। ব্যর্থতাও সঙ্গী হয় প্রায় নিয়মিত। সিলেটেই যেমন, ঝুঁকি নিয়ে আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে প্রথম ইনিংসে উইকেট ছুড়ে এসেছেন দুই দলের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান।
মিরপুর টেস্টে এর প্রয়োজন দেখেন না টিম সাউদি। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কিউই অধিনায়ক উইকেটের চ্যালেঞ্জ সামলাতে আগ্রাসী না হয়ে বরং নিজেদের খেলার ধরনে আস্থা রাখার তাগিদ দিলেন।
“আমরা যেমন আশা করেছি, (সিলেটের উইকেট) তেমনই ছিল। বেশ ভালো উইকেট ছিল, বিশ্বের এই প্রান্তে খেলতে এলে আমরা এমনই আশা করি। আমাদের দলের বেশ কয়েকজন এখানে আগে খেলেনি। তারা ওই ম্যাচ থেকে শিখতে পারে। আর সবার খেলার পদ্ধতি আলাদা, সবাই আলাদাভাবে এগোয়।”
“এখানে বিষয়টা হলো, নিজেদের খেলার সেই ধরনে যথেষ্ট বিশ্বাস রাখা। (সিলেটে) আমরা অবশ্যই কেনের (উইলিয়ামসন) নৈপুণ্য দেখেছি। তার তুলনায় ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের খেলার ধরন কিছুটা আলাদা। বিষয়টা হলো, নিজের ধরনে আস্থা রেখে তা লম্বা সময় ধরে করে যাওয়া।”
প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংসেই দ্রুত রান তুলে যাত্রা শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে খুব বাজে একটি শট খেলে আউট হন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকে সামলে নিয়ে গোছানো ব্যাটিংয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
ওই ম্যাচে রানের দেখা পান মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমরাও। তবে শান্তর তুলনায় আরও পরিপাটি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ শটে নিজেদের ইনিংস এগিয়ে নেন তারা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এই দুই ধরনের পথকে উদাহরণ হিসেবে দেখান সাউদি।
“আগেও যেটা বললাম, ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারের খেলার ধরন ভিন্ন। বাংলাদেশের সঙ্গে যদি মেলান, মুমিনুল বা তার মতো অন্যদের তুলনায় শান্ত কিছুটা আগ্রাসী খেলেছে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। আমার ধারণা, আমাদের ছেলেদেরও ভিন্ন ধরন ও স্টাইল আছে। নিজের সেই ধরনের প্রতি সৎ থাকা এবং ভরসা রাখাই মূল বিষয়।”