বাংলাদেশ ক্রিকেট
জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির জন্য সারা দেশে যথাযথ অনুশীলনের ব্যবস্থার দাবি জানালেন সাব্বির রহমান।
Published : 25 Dec 2024, 06:43 PM
মাসের শুরুতে কুয়াশাভেজা সকালে ব্যাটিংয়ের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে সাব্বির রহমান লিখেছিলেন, ‘আবহাওয়া উপভোগ করছি।’ শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে সেদিনের আবহাওয়া উপভোগ্য মনে হলেও, অনুশীলন সুবিধা নিয়ে ঠিক সন্তুষ্ট নন জাতীয় দলের একসময়ের নিয়মিত মুখ। তাই সারা দেশে উন্নতমানের সুবিধাদির চাওয়া তার।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে সাব্বির৷ গত মে মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর কোনো স্বীকৃত ক্রিকেট খেলেননি ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
বিপিএলের গত আসরে সাব্বিরের প্রতি কোনো দল আগ্রহ দেখায়নি। তবে আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ঢাকা ক্যাপিট্যালসের হয়ে মাঠে নামার কথা তার।
এই টুর্নামেন্টে ভালো খেলে জাতীয় দলে ফেরার পথ তৈরি করতে চান সাব্বির। আর বিপিএলে ভালো করার জন্য প্রস্তুতির বড় অংশ তিনি সারেন রাজশাহীতে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ঢাকার বাইরের অনুশীলন সুবিধায় ঘাটতির কথা বললেন সাব্বির।
বিপিএলের দলীয় অনুশীলন শুরুর আগে মিরপুরে বিসিবির জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছেন সাব্বির। বুধবার লম্বা ব্যাটিং সেশনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য সারা দেশে যথাযথ অনুশীলনের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
“(জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে) বিষয়টা হচ্ছে আপনি কোথায় অনুশীলন করতে চান? যদি মিরপুরে করেন, তাহলে এটা অসম্ভব। কারণ এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকে, অনেক ব্যস্ততা থাকে। এই সুবিধা যদি সব বিভাগে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, যারা ত্রিশ জনের বাইরে থাকবে বা পাইপলাইনের আশপাশে থাকবে, তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে। মেশিন বা (কংক্রিট) স্ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে।”
“আমি নিজের খরচে স্ল্যাব কিনেছি, মেশিন ব্যবহার করেছি। উদীয়মান যারা আছে, তাদের হয়তো সেই সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। এই (অনুশীলন সুবিধার) পরিকল্পনা সব বিভাগের জন্য করা উচিত। যেন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে যে কেউ দলে কামব্যাক করতে পারে।”
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর বেশ কয়েক বছর জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন সাব্বির। কিন্তু ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে সে অর্থে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি তার। বয়সও এরই মধ্যে ৩৩ পেরিয়েছে।
তবে হাল ছাড়ছেন না সাব্বির। সামনের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে চান তিনি।
“(জাতীয় দলে ফেরার জন্য) তৈরি তো অবশ্যই হচ্ছি। বয়স তো এখনও বাকি আছে আমার। চেষ্টা করছি কামব্যাক করার। এজন্যই মাঠে আসছি, অনুশীলন করছি। বিপিএলে সুযোগ পেয়েছি, বাইরের দেশে খেলতে যাচ্ছি। আশা তো সবাই করে। আমার পরিবারও করে, আমিও করি। আশাটা কীভাবে পূরণ হবে, সেটা ভালো খেলার পরে বোঝা যাবে। তো চেষ্টা করব ভালো খেলে আবার দলে ফেরার জন্য।"
বিপিএলের আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে রাজশাহী দলে ছিলেন সাব্বির। তবে একই সময়ে শ্রীলঙ্কার টি-টেন লিগে সুযোগ পাওয়ায় এনসিএল খেলা হয়নি তার।
লঙ্কা টি-টেন লিগে হাম্বানটোটা বাংলা টাইগার্সের হয়ে শিরোপা জেতেন তিনি। ব্যাট হাতে অবশ্য বেশি কিছু করতে পারেননি সাব্বির। ছয় ম্যাচে ২০৭ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন কেবল ৫৮ রান।
সাব্বিরের আশা, টি-টেন লিগের অভিজ্ঞতায় বিপিএলে সন্তোষজনক কিছু করতে পারবেন তিনি।
"আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই বেড়েছে। যেহেতু একটা ভালো টুর্নামেন্ট (লঙ্কা টি-টেন) গেছে। আমার মনে হয়, যতটুকুই খেলতে পেরেছি, আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেয়েছি।"
"টি-টেন লিগের খেলাটা বিপিএলে অনেক বড় কাজে দেবে। সেখানে যে দায়িত্বে খেলেছি, এখানে ৫-৬ নম্বরে হয়তো খেলব, অনেক বড় দায়িত্ব হবে আমার জন্য। আত্মবিশ্বাসটাও ভালো হবে।"