বিশাখাপাত্নাম টেস্টে জ্যাক ক্রলির এলবিডব্লিউ আউট নিয়ে চলছে বিতর্ক।
Published : 05 Feb 2024, 09:19 PM
বোলার কুলদিপ ইয়াদাভের বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল রোহিত শার্মাকে রিভিউ নিতে রাজি করাতে। এরপর স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় যখন দেখা গেল, ব্যাটসম্যান আউট, উল্লাসে ফেটে পড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে, ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রলি যেন হতবাক। সতীর্থের এলবিডব্লিউয়ের আউট নিয়ে বিস্মিত বেন স্টোকসও। এখানে প্রযুক্তির ভুল হয়েছে বলে মনে করছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
বিশাখাপাত্নাম টেস্টে ক্রলির এই আউট নিয়ে চলছে বিতর্ক। অনেকে মনে করছেন, এলবিডব্লিউয়ের ক্ষেত্রে বলের সম্ভাব্য গতিপথ অনুমান করতে ভুল করেছে বল ট্র্যাকিং সিস্টেম।
ম্যাচের চতুর্থ দিন সোমবার ইংল্যান্ডের রান তাড়ায় ইনিংসের ৪২তম ওভারের ঘটনা এটি। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপের লেংথ বল লেগ স্টাম্পে পড়ে আঘাত করে ডানহাতি ক্রলির প্যাডে। জোরাল আবেদন করেন ভারতীয়রা। তবে আউট দেননি অন-ফিল্ড আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস। বোলারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর একেবারে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত।
খালি চোখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছিল, বল হয়তো লেগ স্টাম্পে লাগবে না। তবে বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্প লাইনে পড়ে লেগ স্টাম্পে আঘাত করছে। ‘পিচিং’, ‘ইমপ্যাক্ট’ ও ‘উইকেট হিটিং’- তিনটিই লাল। ফলে আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
ক্রলি আউট হওয়ার আগে ৩৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালোভাবেই ম্যাচে ছিল ইংল্যান্ড। ৪ উইকেটে তাদের রান ছিল ১৯৪। এই ওপেনার ৭৩ করে ফেরার পর পথ হারিয়ে ফেলে দল, ২৯২ রানে অল আউট হয়ে ম্যাচ হারে ১০৬ রানে।
ক্রলির আউটকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন অনেকে। স্টোকস যদিও এই আউটকে ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে দেখাতে চান না। তবে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইংলিশ অধিনায়ক।
“খেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই আছে। তবে এটি কখনই শতভাগ নির্ভুল হতে পারে না, সে কারণেই ‘আম্পায়ার্স কল’ আছে। যখন সবাই বলে এটি শতভাগ নির্ভুল হতে পারে না, তখন আমি মনে করি না যে, কারো পক্ষে ‘আমার মনে হয় প্রযুক্তি এই ক্ষেত্রে ভুল করেছে’ বলাটা অন্যায়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি তাই বলব।”
“অনিশ্চয়তায় ভরা এই খেলায় আমি বলতে যাচ্ছি না যে, এই (আউটের) কারণে প্রত্যাশানুযায়ী ফল পাইনি আমরা৷ আমি শুধু বলছি, আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভুল হয়েছে৷ আর তা বলাটা ন্যায়সঙ্গত বলেই মনে করি আমি।”
বিষয়টি নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেছেন কি-না, এমন প্রশ্নে স্টোকস বলেন, “যা ঘটেছে এবং শেষ হয়ে গেছে, তা নিয়ে সত্যিই খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না। একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বদলানো যাবে না।”
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে ভারত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজকোটে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট।