দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝেই দুই দিন জাতীয় দলের স্পন্সর রবির শুটিংয়ে অংশ নিতে হলো ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য, স্পন্সরের সঙ্গে চুক্তির শর্তে তারা দায়বদ্ধ।
Published : 08 Jul 2015, 05:35 PM
ডি ভিলিয়ার্স না থাকায় বাংলাদেশের স্বস্তি
ওয়ানডের বাংলাদেশ কঠিন: ম্যাকলারেন
ডি ভিলিয়ার্সের বিকল্প নেই দ. আফ্রিকা দলে
নতুন নিয়মে অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে: তামিম
ক্লান্তিকে দায় দিচ্ছেন না তামিম
ওয়ানডেতে জেতার আত্মবিশ্বাস তামিমের
বুধবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ছিল দুপুরে। কিন্তু আগের দিন টি-টোয়েন্টি খেলে ক্রিকেটাররা বুধবার সকাল থেকেই আবার মাঠে। ম্যাচের পোশাক গায়ে চাপিয়ে প্যাড-গ্লাভস পরে ব্যাট-বল হাতে করতে হলো নানা কসরত। তবে ক্রিকেটের জন্য নয়। সবই অভিনয়! জাতীয় দলের স্পন্সর রবির বিজ্ঞাপনের শুটিং হলো মিরপুরের একাডেমি মাঠে।
বুধবারই প্রথম নয়, গত ২ জুলাই ৪-৫ ঘণ্টা ধরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মূল মাঠেই রবির শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। সিরিজ চলার সময় দুই দফায় বিজ্ঞাপনের শুটিং আয়োজন যথেষ্টই বিরল ঘটনা।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানালেন, স্পন্সরের সঙ্গে চুক্তির দায়বদ্ধতা থেকেই এটা করতে হয়েছে।
“স্পন্সরদের প্রতি আমাদের কিছু কমার্শিয়াল দায়বদ্ধতা আছে। এক বছরে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার কমিটমেন্ট আছে আমাদের। সেটাই পূরণ করছি আমরা। যেহেতু আমাদের ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ পড়ে যাচ্ছে, ক্রিকেটারদের যাতে আলাদা করে সময় দিতে না হয়, সেজন্যই এই স্লট নেওয়া।”
দুটি আলাদা দিনে ক্রিকেটারদের শুটিংয়ে অংশ নিতে হলেও প্রধান নির্বাহী এই দুটি দিনকে আলাদা ধরতে নারাজ।
“আপনারা এটাকে দুই দিন ভাবলে ভাবতে পারেন। কিন্তু এটি আসলে গতবারের শুটিংয়ের ধারাবাহিকতা। গত দিনের পরও কিছু কাজ বাকি রয়ে গেছে। এজন্য আজকে আবার করতে হচ্ছে। প্রতিটি ক্রিকেটারের ১৫-২০ মিনিট করে সময় লাগবে এই সেশনে। বলা হয়েছে, যতটা কম সময়ে সম্ভব শেষ করতে।”
২ জুলাই প্রথম দফার শুটিংয়ে রবির জন্য সময় নির্ধারিত ছিল দুপুর একটা পর্যন্ত। কিন্তু সেদিন তারা কাজ করেছে প্রায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত! সেদিন দুপুর দেড়টা থেকে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অনুশীলন। মাঠে এসে লাইট-ক্যামেরা নিয়ে হুলস্হূল দেখে আকাশ থেকে পড়েছিলেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। পরে শুটিং ইউনিটের লোকজনের সঙ্গে মাঠে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছিল ফটো সাংবাদিকদের।
প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য অনুযায়ী, সেদিন প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় বেশি নিয়েও রবি কাজ শেষ করতে পারেনি বলেই বুধবার আরেক দফায় করতে হয়েছে। তাছাড়া সিরিজের মাঝপথে না হয়ে এটা সিরিজের পরেও হতে পারত। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে প্রায় দেড় মাসের বিরতি। প্রধান নির্বাহী অবশ্য দাবি করলেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার অনুশীলনের আগে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তামিম ইকবালের কণ্ঠে পাশাপাশি উঠে এল অসহায়ত্ব আর বাস্তবতা।
“সিরিজের পরে হলে অবশ্যই ভালো হতো। এখন বোর্ড থেকে যদি বলা হয় আমাদের করতে, আমরা তো আর না করতে পারব না। তবে বোর্ড নিশ্চয়ই আমাদের খারাপ চাইবে না। অনুশীলন যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, সেদিক থেকে ঠিক আছে। আর ওরা এতবড় একটা স্পন্সরশিপ কিনেছে। ওদেরও কিছু চাওয়া থাকেই। এটা আসলে তাই ব্যাল্যান্স করে নেওয়া উচিত।”