“১০০-১৫০ লোক এ সময় আমাদের মাইক, চেয়ার ও পাঁচটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।”
Published : 19 May 2024, 02:11 PM
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পথসভায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় ঘটনায় পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুজন কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া ব্রাহ্মণকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেসুর রহমান সুমনের পথসভায় এ হামলা হয় বলে মোখলেসুর নিজেই জানিয়েছেন।
তিনি এ ঘটনায় অভিযোগ তুলেছেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী কাউছার ভুইয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কুদরত এখুদা ও ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মামুন আল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রার্থীদের প্রচার জমে উঠেছে; প্রতিনিয়ত তারা অভিযোগ তুলছেন একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে।
এ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমান সুমন ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। উপজেলা ভোটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে কাউছার ভুইয়া ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থীত হিসাবে পরিচিত। তিনি আলগী ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।
ঘটনার বর্ণনায় মোখলেছুর রহমান সুমন বলেন, “শনিবার রাতে ব্রাহ্মণকান্দা প্রাইমারি স্কুল মাঠে পথসভা করছিলাম। আমাদের বক্তব্য যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন আমার প্রতিপক্ষ কাউছার ভুইয়ার সমর্থকরা হামলা করে।
“হামলাকারীদের মধ্যে পাশের বামনকান্দা গ্রামের ইয়াকুব মিয়া, আক্কাচ মাতুব্বর ও পুকুরিয়া গ্রামের তুহিন খাঁনের নেতৃত্বে ১০০-১৫০ লোক এ সময় আমাদের মাইক, চেয়ার ও পাঁচটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউছার ভূইয়া বলেন, “প্রতিপক্ষ মিথ্যা ও অসত্য কথা বলার চেষ্টা করছে। আমি ঘটনার সময় আলগি ইউনিয়নে মিটিং করছিলাম। কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি জানি না।”
ওসি মো. মামুন আল ইসলাম বলেন, “হামলার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০-৪০ জন লোক হামলা করেছে। এছাড়া তিন থেকে চারটি গাড়ি ও মাইক ভাঙচুর করেছে।
“এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। আমরা এখনও লিখিত অভিযোগ পাই নাই; হয়তো রাতে পাব। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে হামলার ঘটনায় রোববার ভোররাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব মাতুব্বর বাদি হয়ে ২১ জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-৩৫ বলে ওসি মামুন আল রশিদ জানান।
তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, “হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।”