গাজীপুরের মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
Published : 24 Apr 2025, 08:12 PM
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে দা দিয়ে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ জানান।
নিহত গৃহবধূ নাদিরা আক্তার (২৬) ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঝিকাতলা মাইজহাটি গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি শ্রীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে মেঘনা গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
তার স্বামী আমিনুল ইসলাম (৪০) একই উপজেলার মো. ফখরুদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
নাদিরার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, “বেলা ১১টার দিকে মেয়ের জামাই আমিনুল ইসলাম আমাকে ফোন করে। তখন বলে যে, ‘আপনার মেয়েকে মেরে ফেলছি, আপনি এসে লাশ নিয়ে যান।’ এই কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর আমি কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর মেয়ের নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।”
নাদিরার ছোটভাই রাজিব মিয়া বলেন, “আমি আর আমার বোন একই বাসায় ভাড়া থেকে কারখানায় কাজ করি। আপা নিচতলায়, আর আমি দোতলায় বাস করি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আমি কর্মস্থলে যাই। তখন বোনের ঘরের দরজায় তালাবদ্ধ দেখতে পাই।
“বেলা ১১টার কিছু পর বাবা ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসায় ফিরে দেখি বোনের ঘর তালাবদ্ধ। এরপর ঘরের তালা ভেঙে বোনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।”
তিনি বলেন, “আপাকে বিয়ে করার আগেও তিনি আরেকটা বিয়ে করেন। সেই বউকেও হত্যার পর জেল খেটেছেন। বিয়ের পর বিষয়টি জানতে পারি। আপাকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে খুবই নির্যাতন করতেন।”
বাড়ির মালিক কামরুজ্জামান বলেন, “ঘটনাটি জানার পর পরই শ্রীপুর থানা পুলিশকে অবহিত করি। এই দম্পতি ছয় বছর ধরে আমার বাসা ভাড়া থাকেন।”
ঘটনার পর থেকেই আমিনুল পলাতক বলে জানান শ্রীপুর থানার ওসি মো. জয়নাল আবেদীন।
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে।”
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।