সফরের একদম শুরু থেকে বাংলাদেশ দলের অংশ তাইজুল ইসলাম। কিন্তু একাদশের অংশ হতে পারছিলেন না। শুরুতে একটি প্রস্ততি ম্যাচ ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই মাঠে নামা হচ্ছিল না তার। অবশেষে তার খেলার সুযোগটি এলো সফরের শেষ দিনে। স্মরণীয় সাফল্যে তিনি রাঙিয়ে রাখলেন তার ফেরা।
Published : 17 Jul 2022, 09:04 AM
২৮ ম্যাচ পর ওয়ানডে খেলতে নেমে ২৮ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল। তার অসাধারণ বোলিংয়ে শনিবার শেষ ম্যাচ জিতে ৩-০তে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
মজার ব্যাপার হলো, ওয়ানডের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে তার নামই ছিল না। টেস্ট সিরিজ খেলতে গত মাসের প্রথস সপ্তাহে তিনি ক্যারিবিয়ায় পাড়ি জমান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে টেস্ট খেলার সুযোগ তিনি পাননি। তবে টেস্ট সিরিজ শেষেও তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। সাকিব আল হাসানের ছুটি, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের চোট, এসব কারণে তাইজুলকে রেখে দেওয়া হয় দলের সঙ্গে।
সেটির সুফল পাওয়া গেল শেষ ওয়ানডেতে। স্পিন সহায়ক উইকেটে পেসার শরিফুল ইসলামকে বাইরে রেখে একাদশে আনা হলো তাইজুলকে। নিজের প্রথম বলেই পেলেন তিনি উইকেটের দেখা, দ্বিতীয় ওভারে আরেকটি। শেষ পর্যন্ত ২৮ রানে ৫ উইকেট।
ওয়ানডে দলে যার সুযোগ মেলে কদাচিৎ, সেই তাইজুলই গড়লেন স্পিনারদের মধ্যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেট প্রথমবার পেলেন বাংলাদেশের কেউ।
তাইজুলের ফ্লাইট, ড্রিফট, টার্নে খাবি খেয়ে আউট হন একের পর এক ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। তিনি নিজে অবশ্য ম্যাচ শেষে বললেন, স্রেফ লাইন-লেংথ ঠিক রাখাই ছিল তার চাওয়া।
“৫ উইকেট পাওয়াটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আমি খেলছিলাম না, এটা বড় কিছু নয়। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। চাওয়া ছিল সুযোগ পেলে যেন ভালো করব।”
“আমার কাজটা আমি করার চেষ্টা করেছি। উইকেটে সহায়তা ছিল, আমার কাজ ছিল ঠিক জায়গা বল করা। আমি উইকেট অনুযায়ীই বল করার চেষ্টা করেছি।”
তাইজুলের নিবেদন ও এই ম্যাচের বোলিং নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
“তাইজুলের নাম বলতেই হবে। সফরজুড়ে সে দলের সঙ্গে ছিল, ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে সে ছিল। অবশেষে সে যখন আজকে খেলার সুযোগ পেল, নিজেকে মেলে ধরল। প্রাপ্তি তাই বেশ কিছু আছে।”