দুই বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে ফেরাটা ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে রাঙালেন তাইজুল ইসলাম। সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে গড়লেন দেশের বাইরে বাংলাদেশের স্পিনারদের সেরা বোলিংয়ের কীর্তি।
Published : 16 Jul 2022, 11:05 PM
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শনিবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ দিয়ে ২০২০ সালের পর ওয়ানডেতে ফেরেন তাইজুল। ম্যাচ জুড়ে দারুণ বোলিং করে ২৮ রানে নেন ৫ উইকেট।
ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট এই প্রথম পেলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচের ১১ রানে ৪ উইকেট ছিল তার আগের সেরা।
২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে অনন্য কীর্তি গড়েন তাইজুল। ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে করেন হ্যাটট্রিক। এরপরও প্রায় আট বছরে কেবল ৯টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান তিনি।
আবার সুযোগ পেয়েই গড়লেন রেকর্ড। দেশের বাইরে বাংলাদেশের স্পিনারদের সেরা বোলিং ছিল সাকিবের। ২০১৯ বিশ্বকাপে সাউথ্যাম্পটনে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২৯ রানে। সেটি পেছেন ফেলে দিলেন তাইজুল।
২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেশের বাইরে ওয়ানডেতে এখনও এটা বাংলাদেশের সেরা বোলিং।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে শনিবার স্পিনে শক্তি বাড়াতে শরিফুল ইসলামের জায়গায় তাইজুলকে খেলায় বাংলাদেশ।
৩০ বছর বয়সী এই স্পিনার তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ব্র্যান্ডন কিংকে। পরের ওভারে ধরেন বড় শিকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ সফল শেই হোপকে ২ রানে থামান স্টাম্পড করে।
পরের ৩ ওভারে পাননি কোনো উইকেট। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করে দেন রভম্যান পাওয়ালকে। আগের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কায় ওড়ানোর পর হাত খুলতে চেয়েছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। চমৎকার ডেলিভারিতে ঝড় তোলার আগেই তাকে থামান তাইজুল।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়া কিমো পলকে এবার তেমন কিছু করতে দেননি তিনি। কিছুক্ষণ পর নিজের শেষ ওভারটি করতে এসে বিদায় করেন দ্রুত রান তোলা নিকোলাস পুরানকে। সঙ্গে পান অনির্বচনীয় স্বাদ।
তাইজুলের দারুণ নৈপুণ্যে ৮ বল বাকি থাকতে ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।