শুরুতে পায়ের ‘নো’ বল ধরার প্রযুক্তি, এবার জানা গেল ব্রিজবেন টেস্টে নেই স্নিকোও। যার ফলে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পরিচালনায় অফিসিয়ালদের পড়তে হচ্ছে বিপাকের মুখে।
Published : 10 Dec 2021, 04:19 PM
স্নিকো হলো এমন এক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বল ব্যাট ছুঁয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়। গ্যাবায় চলমান পুরো ম্যাচেই মিলবে না এই প্রযুক্তির ব্যবহার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রযুক্তি সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য টেকনিক্যাল কোনো সাহায্য নিতে পারছে না তারা।
দুই দলকেই ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছেন। ডিআরএস থাকার কথা নিশ্চিত করা হলেও প্রযুক্তির সমস্যার কারণে এর পুরো সুবিধা পাওয়া যাবে না।
স্নিকো না থাকার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ম্যাচের প্রথম দিন, যখন জস বাটলারকে ফেরানোর জন্য ক্যাচের রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া। যদিও ওই দফায় হট স্পটে পরিষ্কার দেখা যায় ব্যাটসম্যানের থাই প্যাডে লেগেছে বল।
তৃতীয় দিন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ১৬ রানে খেলছিলেন মালান, জশ হেইজেলউডের বলে কট বিহাইন্ডের জন্য রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া। হট স্পটে ব্যাটের নিচের অংশে বল লাগার অস্পষ্ট ছাপ ধরা পড়ে। কিন্তু তা মাঠে থাকা আম্পায়ারের নটআউট সিদ্ধান্ত বদলের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ মনে হয়নি থার্ড আম্পায়ার পল উইলসনের কাছে। স্নিকো থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতো তার জন্য।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিও এই টেস্টে নেই; সামনের পায়ের ‘নো বল’ ধরার। দ্বিতীয় দিন বেন স্টোকস নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে ১৪টি ‘নো’ (ওভারস্টেপিং) করেন। এর মধ্যে কেবল একবারই তা ধরতে পারেন মাঠের আম্পায়ার। আরেকটি ধরা পড়ে থার্ড আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখার পর, যে বলে বোল্ড হয়েও বেঁচে যান ডেভিড ওয়ার্নার।
টেস্টের বর্তমান প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, সামনের পায়ের ‘নো বল’ এর জন্য প্রতিটি বলের পর বোলারের সামনের পায়ের অবস্থান দেখবেন থার্ড আম্পায়ার এবং ‘নো বল’ হলো কি-না, সে বিষয়ে কথা বলবেন মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে। গত বছর ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টেস্টে প্রযুক্তিটি প্রথমবার ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু ব্রিজবেনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পায়ের ‘নো বল’ ধরার প্রযুক্তি ম্যাচ শুরুর আগে থেকে কাজ করেনি। ফলে এই ম্যাচে খেলা হচ্ছে আগের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, যেখানে কোনো বলে উইকেট পড়লেই কেবল তা পরীক্ষা করে দেখবেন থার্ড আম্পায়ার।