জাতীয় ক্রিকেট লিগ দুই স্তরে ভাগ হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় স্তরে খেলা যেন হয়ে গিয়েছিল অবধারিত। অবশেষে উন্নতি হলো তাদের। দ্বিতীয় স্তরে সেরা হয়ে উঠে গেল প্রথম স্তরে।
Published : 24 Nov 2021, 07:39 PM
শীর্ষে থেকেই শেষ রাউন্ডে খেলতে নেমেছিল চট্টগ্রাম। বুধবার ঢাকা মেট্রোর সঙ্গে ড্র করে তারা ধরে রাখে অবস্থান। ৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মেট্রো ৪ উইকেটে ৮১ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
দ্বিতীয় স্তরে বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের অপর ম্যাচও ড্র হয়েছে।
শেষ দিনে চট্টগ্রামের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন শাহাদাত হোসেন। গত যুব বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটসম্যান ৩০৬ বলে ১১ চার ও একটি ছক্কায় খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫৯ রানের ইনিংস। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি সৈকত আলি। সাত নম্বরে নেমে ১৮৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি করেছেন ৯৫ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে শেষ দিনে ব্যাটিং শুরু করে চট্টগ্রাম। সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে ছিলেন শাহাদাত। দিনের শুরুতেই পূর্ণ করেন তিনি।
ইফতেখার সাজ্জাদকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ১৫৯ রানের ইনিংসটি। ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করা সৈকত সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ইফতেখারের বলেই ক্যাচ দেন আল আমিনকে। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ৩৬০ রানে।
ইফতেখার ৭৬ রানে নেন ৫ উইকেট।
২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে দুই স্তরে ভাগ হয়ে জাতীয় লিগ হচ্ছে। টানা পাঁচ মৌসুম দ্বিতীয় স্তরে খেলে আগামী মৌসুমে প্রথম স্তরে খেলবে চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম বিভাগ ১ম ইনিংস: ২২৩
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ২৫৮
চট্টগ্রাম বিভাগ ২য় ইনিংস: ১৩৬.২ ওভারে ৩৬০ (আগের দিন ২২১/৫) (শাহাদাত ১৫৯, সৈকত ৯৫, সাজ্জাদুল ২, সামাদ ০, মেহেদি ৩, নোমান ০*; আবু হায়দার ২০.২-৬-৫০-২, ইফতেখার ৩০-৫-৭৬-৫, শাহবাজ ৩৪-৭-৮১-২, শরফুদ্দৌলা ২৯-৪-৬০-০, মেহরাব ১৮-২-৬৬-১, আল আমিন ১-০-১-০, আজমির ২-১-৭-০, শামসুর ২-০-৯-০)
ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩২৬) ২৪.৩ ওভারে ৮২/৪ (আজমির ১, জাহিদ ৩৭, মুনিম ১১, শামসুর ১৩, মার্শাল ১৮*; মুরাদ ১১.৩-২-২৭-৩, নাবিল ১০-২-৩৭-১, নোমান ২-০-১৬-০, শাহাদাত ১-০-১-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহাদাত হোসেন।
১৮৮ রানের পর ফজলে মাহমুদের ৭১
বরিশাল ও রাজশাহীর ম্যাচে প্রথম তিন দিনে শেষ হয়েছিল কেবল দুই দলের প্রথম ইনিংস। তাই অনুমতিভাবেই ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
ড্রয়ের আগে বরিশালের হয়ে ফিফটি করেছেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আবু সায়েম, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানের ইনিংস খেলা ফজলে মাহমুদ এবার অপরাজিত থাকেন ৭১ রানে। ১০১ বলে ১১ চার ও একটি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস। ম্যাচসেরাও হন তিনিই।
ওপেনিংয়ে আশরাফুল ১০৯ বলে ১২ চারে করেন ৭১ রান। ১৯১ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ৮৭ আরেক ওপেনার সায়েম।
বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৬ রান করার পর ড্র হয়ে যায় ম্যাচ।
দ্বিতীয় স্তরে দ্বিতীয় হয়েছে বরিশাল। রাজশাহী তিনে ও মেট্রো চারে আছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল বিভাগ ১ম ইনিংস: ৩৩৩
রাজশাহী বিভাগ ১ম ইনিংস: ৪২১
বরিশাল বিভাগ ২য় ইনিংস: ৭৫.২ ওভারে ২৮৬/৪ (শায়েম ৮৭, আশরাফুল ৭১, ফজলে মাহমুদ ৭১*, সালমান ২৪, সোহাগ ১৩, ইসলামুল ১০*; শফিকুল ১১-০-৪৫-০, আসাদুজ্জামান ১০-১-৪৩-০, সানজামুল ১.১-১-০-০-, সাকলাইন ২৪-৫-৯০-১, মোহাইমিনুল ২৪-৪-৭৭-২, অভিষেক ৪.১-০-২২-১, তানজিদ ১-০-৫-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: ফজলে মাহমুদ রাব্বি।