সানজামুলের ছোবল এড়িয়ে চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক ইয়াসির

পুঁজি ছোট, এরপরও দারুণ লড়াই করলেন সানজামুল ইসলাম। টেস্ট দলের স্পিনার তাইজুল ইসলাম দিতে পারলেন না ততটা সঙ্গ। দায়িত্বশীল এক ইনিংসে চট্টগ্রাম বিভাগকে পথ দেখালেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। তার ব্যাটে রাজশাহী বিভাগকে হারিয়ে প্রথম স্তরে ফেরার অভিযান শুরু করল দলটি।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বুধবার ৪ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। ৭৭ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে চতুর্থ ও শেষ দিনের প্রথম সেশনে।

প্রথম ইনিংসে ১২৯ রান করা ইয়াসির এবার করেন ৩৯ বলে অপরাজিত ৩৮। আক্রমণাত্মক এই ইনিংস খেলার পথে মারেন দুটি করে ছক্কা ও চার।

ঘরের মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে চট্টগ্রাম। শেষ দিনে তাদের প্রয়োজন ছিল কেবল ৬২ রান। সেটাও দূরের পথ হতে বসেছিল সানজামুলের বাধায়।

দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন তিনি। নাইটওয়াচম্যান নাঈম হাসানকে বিদায় করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। পরের ওভারেই ধরেন বড় শিকার। ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে। ৪ বল খেলা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন তাইজুলের হাতে। প্রথম ইনিংসে ৫০ রান করেন তিনি।

এক প্রান্ত আগলে রাখা সাদিকুর রহমানের প্রতিরোধ ভেঙে নিজের চতুর্থ উইকেট নেন সানজামুল। পরে শাহাদাত হোসেনের উইকেট নেন তাইজুল।

৩৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে এরপর পথ দেখান ইয়াসির। আটে নামা ইফরানের কাছ থেকে পান দারুণ সঙ্গ। শেষ দিনের উইকেটে দুই বাঁহাতি স্পিনারের ছোবল এড়িয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

৬.১ ওভারে ইয়াসিরের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়া ইফরান অপরাজিত থাকেন এক চারে ৯ রানে।

প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে ৫ উইকেট নেওয়া সানজামুল এবার ৪ উইকেট নেন ৪২ রানে। ম্যাচে ৯ উইকেটের সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬০ রান। দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যের পরও রাজশাহীর হার ঠেকাতে পারলেন না তিনি। সেঞ্চুরির পর আরেকটি কার্যকর ইনিংস খেলে ব্যবধান গড়ে দিলেন ইয়াসির।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৬৬

চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩৪৯

রাজশাহী ২য় ইনিংস: ২৫৯

চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৭৭, আগের ১৫/২) ২৪.১ ওভারে ৭৮/৬ (সাদিকুর ১৩, নাঈম ৫, মুমিনুল ০, ইয়াসির ৩৮*, শাহাদাত ০, ইফরান ৯*; সানজামুল ১২.১-১-৪২-৪, তাইজুল ১১-৩-২৯-১, হৃদয় ১-০-৩-১)

ফল: চট্টগ্রাম ৪ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: ইয়াসির আলি চৌধুরি