পাকিস্তানের কোচিং স্টাফে হেইডেন-ফিল্যান্ডার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কোচিং স্টাফে নতুন দুই সদস্যকে যোগ করেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ম্যাথু হেইডেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডারকে আসছে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের জন্য কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2021, 10:30 AM
Updated : 13 Sept 2021, 11:38 AM

এহসান মানির পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রমিজ রাজা। এদিনই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই দুইজনকে কোচ হিসেবে আনার কথা নিশ্চিত করেন দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক।

হেইডেন ও ফিল্যান্ডারের দায়িত্ব কী হবে, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। রমিজ জানান, এই দুইজনের সঙ্গে একজন প্রধান কোচও নিয়োগ দেওয়া হবে। অবশ্য তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

“ম্যাথু হেইডেন একজন অস্ট্রেলিয়ান, বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা আছে এবং তিনি নিজেও একজন দারুণ ক্রিকেটার ছিলেন। ড্রেসিং রুমে একজন অস্ট্রেলিয়ানকে পাওয়া হতে পারে বেশ উপকারি। পাকিস্তান অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে পারে, তাদের কেবল পারফরম্যান্সে ১০ শতাংশ উন্নতি করতে হবে। ভার্নন ফিল্যান্ডারকে আমি খুব ভালো জানি এবং তিনি বোলিংটা ভালো বোঝেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার রেকর্ডও দারুণ।”

গত সোমবার পাকিস্তান বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পরপরই প্রধান কোচের পদ থেকে মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচের পদ থেকে ওয়াকার ইউনিস আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। আসছে নিউ জিল্যান্ড সিরিজের জন্য তাই সাকলায়েন মুশতাক ও সাবেক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাককে দায়িত্ব দেয় পিসিবি।

ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের প্রধান কোচ থাকতে পারেন সাবেক স্পিনার সাকলায়েন। তার সঙ্গে কোচিংয়ের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারেন হেইডেন ও ফিল্যান্ডার।

এদিকে নতুন দায়িত্ব নেওয়া রমিজের প্রধান কাজ ছিল নতুন কোচ নিয়োগ। সেই লক্ষ্যে তিনি আনলেন হেইডেন ও ফিল্যান্ডারকে। পাকিস্তানের কোচিং স্টাফে তাদের অন্তর্ভুক্তি অবশ্য অপ্রত্যাশিত। ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ হলেও দুইজনের কারোরই নেই কোচিং করানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা।

ফিল্যান্ডার তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন বেশিদিন হয়নি। ২০২০ সালে অবসর নেওয়া এই পেসারের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া মৌসুমে খেলার কথা ছিল। দেশের হয়ে ৬৪ টেস্টে ২২৪, ৩০ ওয়ানডেতেতে ৪১ ও ৭ টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা হেইডেন কাজ করেছেন মিডিয়ায়। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করাই এই অস্ট্রেলিয়ানের কোচিং পেশায় প্রথম বড় কোনো কাজ হতে যাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন হেইডেন। দেশের হয়ে ১০৩ টেস্ট খেলে রান করেছেন ৩০ সেঞ্চুরিতে ৮ হাজার ৬২৫। আর ওয়ানডেতে ১৬১ ম্যাচে তার রান ৬ হাজার ১৩৩, সেঞ্চুরি ১০টি। সব মিলিয়ে ৫০ টি-টোয়েন্টি খেলে ১৩৬.৯১ স্ট্রাইক রেটে তার রান এক হাজার ৬৩২।