৬০ রানের বিব্রতকর অভিজ্ঞতা থেকে ১৪২ তাড়া করে ফেলার কাছাকাছি যাওয়া। একতরফা এক ম্যাচের পর শেষ বলে ফয়সালার রোমাঞ্চ। প্রথম ম্যাচের হতাশার চিত্র দ্বিতীয় ম্যাচে বদলে দেওয়ায় দারুণ খুশি নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তার মতে, উইকেট এ দিন ভালো ছিল বলে লড়াইও হয়েছে জমজমাট।
Published : 04 Sep 2021, 10:46 AM
সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে যা যৌথভাবে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। উইকেট সেদিন ছিল ভীষণ মন্থর, টার্ন ও গ্রিপ ছিল অনেক। ওই রান তাড়া করতেই বাংলাদেশকে খেলতে হয় ১৫ ওভার। সেদিনের ম্যান অব দা ম্যাচ সাকিব আল হাসান ম্যাচের পর বলেন, উইকেট অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন।
দ্বিতীয় ম্যাচেও উইকেট ছিল ধীরগতির। তবে প্রথম ম্যাচের তুলনায় অনেক ভালো, যেখানে শট খেলা সম্ভব হয়েছে কিছুটা। গ্রিপ করেনি ততটা। বাংলাদেশ তোলে ১৪১ রান। রান তাড়ায় ল্যাথামের ৪৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংসের সৌজন্যে নিউ জিল্যান্ড করে ১৩৭।
শেষ দুই বলে নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল দুটি বাউন্ডারি। স্ট্রাইকে থাকা ল্যাথাম তা করতে পারেননি। তবে যতটুকু পেরেছেন তিনি ও তার দল, তাতে উচ্ছ্বসিত কিউই অধিনায়ক।
“দারুণ ম্যাচ ছিল। প্রথম ম্যাচে যা হয়েছিল, এরপর এই ম্যাচে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া… আমাদের জন্য ব্যাপারটি ছিল, প্রথম ম্যাচ থেকে শিখে এবার তা কাজে লাগানো। আমার মনে হয়, আমরা তা খুব ভালোভাবে পেরেছি। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। আমরা জুটি গড়েছি এবং শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেছি। জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পেরেছি, যা দারুণ।”
পারফরম্যান্সের এই উন্নতি উইকেটের কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ল্যাথাম। তিন উইকেট নেওয়া রাচিন রবীন্দ্রসহ স্পিনারদের প্রশংসা করার পাশাপাশি তিনি আবারও বললেন লড়াই করতে পারার তৃপ্তির কথা।
“উইকেট ভালো থাকলে খেলাও ভালো হয়। নিশ্চিতভাবে এখানেও ব্যাপারটি ছিল এমনই। মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই খুব ভালো বোলিং করেছে। সব স্পিনারই ভালো করেছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটি ছিল নিজেদের স্কিল মেলে ধরা। যেমনটি চেয়েছিলাম, তা পুরোপুরি পারিনি। তবে ১৩০-১৪০ লড়াই করার মতো স্কোর। আমরা খেলা শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে চেয়েছি এবং শেষ ওভারে নিজেদের একটা সুযোগ দিতে চেয়েছি।”
“আজকে ছেলেরা অনেক ভালো করেছে। শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা টেনে নেওয়া এবং প্রথম ম্যাচ থেকে শিখে আজকে যেভাবে আমরা সবকিছু বদলে দিয়েছি, তাতে আমি গর্বিত।”