ব্যর্থ মুুমিনুল, প্রথম সেঞ্চুরির কাছে শাহাদাত

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শুরুর দিনটি ভালো কাটেনি মুমিনুল হকের। তার হতাশার দিনে ফিফটির দেখা পেয়েছেন ইয়াসির আলি চৌধুরি ও মেহেদি হাসান রানা। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানছেন শাহাদাত হোসেন। রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামকে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দিতে লড়ছেন তরুণ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2021, 12:56 PM
Updated : 22 March 2021, 03:22 PM

এক বছরের বেশি সময় পর মাঠে গড়াল ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট। এনসিএলের উদ্বোধনী দিনে সোমবার দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম দিন ৭ উইকেটে ২৫৬ রান করেছে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ব্যাট-বলের দারুণ লড়াইয়ের ম্যাচে শাহাদাত অপরাজিত ৮৮ রান নিয়ে।

দুই অঙ্কে যেতে পারেননি মুমিনুল। টেস্ট দলের অধিনায়ক ফিরে যান ৬ রান করে। মিডল অর্ডারে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। আটে নেমে ৫৫ রান করেন মেহেদি রানা। 

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম পঞ্চম ওভারেই হারায় পারভেজ হোসেন ইমনকে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার পর আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষকেও বিদায় করেন ফরহাদ রেজা।

কিছু দিন আগে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো মাহমুদুল হাসানকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি আসাদুজ্জামান পায়েল। প্রথম স্লিপে ক্যাচ নেন ফরহাদ হোসেন।

দ্রুত ৩ উইকেট হারানো দলকে আরও বিপদে ফেলে যান মমিনুল। শফিকুল ইসলামের বলে ধরা পড়েন কিপার প্রিতম কুমারের গ্লাভসে।

৫২ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়া চট্টগ্রামের হাল ধরেন ইয়াসির ও শাহাদাত। আস্থার সঙ্গে খেলে প্রথম সেশনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন দুই জন। তাদের জুটিতে অগ্রণী ছিলেন ইয়াসির, সে সময় নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন শাহাদাত। প্রথম ১০০ বলে তার ব্যাট থেকে আসে কেবল ২২ রান। অন্য দিকে ১০১ বলে ফিফটি তুলে নেন ইয়াসির।

দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে তাইজুল ইসলামের বলে মিড-অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির। ১১৯ বলের ইনিংসে ৯ চার ও এক ছক্কায় করেন ৬৩ রান। ভাঙে ৮৮ রানের জুটি।

শূন্য রানে ইরফান শুক্কুরকে এলবিডব্লিউ করে দেন তৌহিদ হৃদয়। মেহেদি রানা রানের খাতা খোলেন হৃদয়ের অফ স্পিনে চার মেরে।

ইয়াসিরের বিদায়ের পর একটু বাড়ে শাহাদাতের রানের গতি। ১৫১ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। তার ক্যারিয়ারের প্রথম, দ্বিতীয় ম্যাচে।

মূলত বাঁহাতি পেসার হলেও মেহেদির ব্যাটিংয়ের হাতও ভালো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আগেও আছে একটি ফিফটি। এ দিন ৮৪ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। এরপর যেতে পারেননি বেশিদূর। দিনের শেষ দিকে তাকে ফিরিয়ে ১১৩ রানের জুটি ভাঙেন পায়েল। ১০১ বলে ৮ চারে ৫৫ রান করেন মেহেদি রানা।

৮ চার ও এক ছক্কায় ২২৪ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন শাহাদাত। কদিন আগে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই তরুণের সামনে প্রথম সেঞ্চুরির হাতছানি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৬/৭ (পারভেজ ৬, পিনাক ১৫, মাহমুদুল ১১, মমিনুল ৬, ইয়াসির ৬৩, শাহাদাত ৮৮*, ইরফান শুক্কুর ০, মেহেদি ৫৫, মোহাম্মদ ইরফান ০*; ফরহাদ ২৩-৭-৩৬-২, শফিকুল ১৮-৩-৪৯-১, পায়েল ১৮-১-৫৫-২, তাইজুল ২২-৫-৬৩-১, হৃদয় ৯-১-৪৩-১)।