ফিল সিমন্সের চোখে ওয়ানডে দলের চেয়ে অভিজ্ঞতা, প্রস্তুতি ও সামর্থ্যে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দল। তাই একপেশে ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্টে লড়াইয়ের আশায় ক্যারিবিয়ান কোচ। তার ধারণা, বাংলাদেশ দলেরও জানা আছে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
Published : 28 Jan 2021, 08:35 PM
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগামী বুধবার শুরু হবে প্রথম টেস্ট। শীর্ষ ক্রিকেটারদের ছাড়া সফরে আসা ক্যারিবিয়ানদের টেস্ট দল ওয়ানডের চেয়ে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি অভিজ্ঞ। এটিই ভরসা জোগাচ্ছে সিমন্সকে।
“টেস্ট সিরিজে আমাদের হয়তো এক-দুই জনের অভিষেক হবে। ওয়ানডে সিরিজে হয়েছিল ১০ জনের। এটা অনেক বড় পার্থক্য। টেস্ট দলে অনেকেই আছে যারা আগে এখানে খেলেছে। ক্রেইগ (ব্র্যাথওয়েট) সবশেষ সফরে অধিনায়ক ছিল। শ্যানন (গ্যাব্রিয়েল) ও (কেমার) রোচ এখানে খেলেছে। টেস্ট সিরিজের জন্য দলে এমন অভিজ্ঞদের পাওয়া দারুণ ব্যাপার।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ আপাতত জোর দিচ্ছেন নিজেদের করণীয়টুকু ঠিকঠাকভাবে করার দিকে। তার বিশ্বাস, তাহলেই কেবল লড়াই হবে টেস্ট সিরিজে।
“যদি আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, ম্যাচে কঠোর পরিশ্রম ও ঠিকঠাক পরিকল্পনা করতে পারি তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট হতে পারে। আমার মনে হয়, ওরা জানে এটা ওয়ানডে সিরিজের মতো সহজ হবে না। তবে এরপরও আমাদের ঠিকঠাক খেলতে হবে।”
টেস্ট সিরিজের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে ক্যারিবিয়ানরা তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে। শুক্রবার থেকে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া সেই ম্যাচের দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন সিমন্স।
“মূল যে ব্যাপারটি আমি পেতে চাইব তা হলো, সামনের ম্যাচগুলোয় তারা কীভাবে ব্যাট করবে তা ভাবা ও বুঝতে পারা। আমি নিশ্চিত, সবাই নিজেদের পরিকল্পনা এখানে মেলে ধরতে চাইবে। কীভাবে তারা পেস ও স্পিন খেলবে, কীভাবে রান করবে। ৩ দিনের ম্যাচে ব্যাপারটি তাদের ওপরই নির্ভর করবে, কীভাবে তারা নিজেদের গুছিয়ে নেমে এবং সময় হলে ঠিক কীভাবে রান করবে।"
“এই উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হয় সেটা বোঝা, জানার সুযোগ ওদের সামনে। যেখানেই খেলতে যাক, ভিন্ন ভিন্ন লাইন-লেংথে বোলিং করতে হয়। যদি নিষ্প্রাণ উইকেট হয়, একজন বোলারের জানা থাকতে হবে, সেখানে কী করতে হবে। ওদের এখানকার কন্ডিশন বুঝতে হবে এবং একই সঙ্গে জানতে হবে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।”
প্রস্তুতি ম্যাচের দলে বাংলাদেশ রাখেনি কোনো অফ স্পিনার কিংবা বাঁহাতি স্পিনার। বিশেষজ্ঞ স্পিনার একজনই- তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, কারিবিয়ানদের অভ্যস্ত হতে না দিতেই এই কৌশল! সিমন্স অবশ্য এটিকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন।
“(বাঁহাতি স্পিনারদের) ব্যাটসম্যানরা কীভাবে সামলায় সেটা ওরা আমাদের দেখতে দিতে চায় না। আমরা জানি, ওদের টেস্ট দলে অন্তত দুইজন বাঁহাতি স্পিনার আছে। তবে ব্যাপারগুলো এমনই। এটাই ঘরের মাঠের সুবিধা। এটা মেনে নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।”
“আমাদের স্পিনারদের এবং নেট বোলারদের ব্যাটসম্যানরা যত বেশি সম্ভব খেলছে। বাংলাদেশের স্পিনারদের সামলাতে ওদের কী করতে হবে, তা বের করার চেষ্টা করছে।”