টানা তিন ম্যাচে ৩০ ছুঁয়ে বিদায় নিয়ে নিজের ওপর বিরক্ত তামিম ইকবাল। দলের অধিনায়ক বলেই শুধু নয়, ব্যাটিংয়ের বড় ভার যখন তার কাঁধে, সেখানে বারবার থিতু হয়ে আউট হয়ে যাওয়াকে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক বলছেন অপরাধের সামিল।
Published : 06 Dec 2020, 06:03 PM
১৫ রান করে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু করেছিলেন তামিম। পরের ম্যাচে করেন ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৭৭। এরপর টানা তিন ম্যাচে ফেরেন ৩২, ৩১, ৩২ রান করে। ৫ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে তার দল।
বরিশালের বোলাররা খুব খারাপ করছেন না। কিন্তু দলকে ভোগাচ্ছে ব্যাটিং। দলের সর্বোচ্চ রান স্কোরার হয়েও দায় নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন তামিম। রোববার দলের অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, দলের প্রত্যাশার কথা তিনি জানেন।
“এই টুর্নামেন্টে আমার মনে হয় ভালোই ব্যাটিং করেছি। তবে সবশেষ তিন ম্যাচে ৩০, ৩০, ৩০ করে আউট হয়ে যাওয়া আমার কাছে মনে হয় অগ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে আমি যে দলে খেলছি, যেখানে আমার পারফরম্যান্সটা অনেক ম্যাটার করে, সেখানে আমি যদি ৩০ করে আউট হয়ে যাই, এটা মূলত অপরাধ।”
“অবশ্যই ৩০ গুলো যদি আমি ৫০-৬০ করতাম, তিনটার মধ্যে যদি একটাও করতাম, তাহলে হয়তো ফল একটু অন্যরকম হতে পারত। তবে সামগ্রিক ব্যাটিং নিয়ে যদি বলি, যেভাবে আমি বল স্ট্রাইক করতে চাই এবং যেভাবে করছি, ইটস ওকে। আমি বলব না যে ‘গ্রেট’, কিন্তু খুব খারাপও নয়।”
“আমার সঙ্গে যারা খেলছে, তারা কোন স্ট্রাইক রেটে খেলছে, এটাও তো খেয়াল রাখতে হবে। ৩০ বলে ৩০ রান করায় খারাপ কিছু দেখি না, যদি পরিস্থিতি ওরকম থাকে। যখন আমরা ১৫০ রান তাড়া করছি, তখন যদি তিনটা উইকেট পড়ে যায় (দ্রুত), ওই সময় ২০ বলে ৩০-৪০ রান করা কঠিন। গত ম্যাচে দেখুন, দেড়শ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছিলাম, আবারও ৩২ রানে আউট হয়ে গেছি। এ সময় বেশি না মেরে আরেকটু সময় নিয়ে খেললে ইনিংস বড় করা যেত।”
“স্ট্রাইক রেট বলুন, ৩০ রান বলুন- প্রশ্ন সবসময় থাকবে, আপনারা সবসময়ই প্রশ্ন তুলবেন। আমার কোনো সমস্যা নেই। ব্যাপার হলো, দিনশেষে যদি আমি ৪০ বলে ৪০ করায় দল জিতে, এটা ভালো। আমি ১৫ বলে ৪০ করে দল হারলে তা ভালো নয়। আমার দলে আমাকে কীভাবে খেলতে হবে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই দলে স্ট্রাইক রেটের চেয়েও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো যতক্ষণ উইকেটে থাকতে পারি, যত লম্বা ইনিংস খেলতে পারি। এখানে আমার ৩০ রান করা ভালো বিষয় নয়। আমি যদি ৪০-৪২ বলেও ৫০ করতাম, হয়তো ১০৯ রানে অলআউট না হয়ে ১৩০-১৩৫ রান হতো, বোলারদের তখন চেষ্টার সুযোগ দেওয়া যায়।”