করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে অনেক বাস্তবতা। দীর্ঘ বিরতি শেষে ক্রিকেট মাঠে ফিরেছে বটে, তবে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে ক্রিকেটারদের থাকতে হচ্ছে ‘বায়ো সিকিউর’ পরিবেশে। সামনের সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টগুলির চিত্রও হয়তো এরকমই হবে। বিষয়টি মানতে পারছেন না ডেভিড ওয়ার্নার। পরিবার থেকে এতো সময় দূরে থাকার চেয়ে বরং অবসরের কথা ভাবতে পারেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।
Published : 28 Jul 2020, 05:34 PM
ইংল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বাগতিকদের টেস্ট সিরিজ চলছে ‘জীবাণুমুক্ত’ পরিবেশে। আগামী সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করছে ইংল্যান্ডের বোর্ড। একই মাসে শুরু হতে পারে আইপিএল। বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে যাবে ভারত। আন্তর্জাতিক সিরিজে দলগুলিকে নির্দিষ্ট সময় থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। পরিবার থেকে তাই দীর্ঘদিন দূরে থাকতে হবে তাদের।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে ওয়ার্নার জানালেন, স্ত্রী ও তিন মেয়ের কথা ভেবে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পুনর্বিবেচনা করবেন তিনি। ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে দু-একটি সংস্করণ থেকে অবসর নেবেন কি-না, সেটাও ভাবছেন ৩৩ বছর বয়সী বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
“অবশ্যই আমার তিন মেয়ে ও স্ত্রীর কথা ভাবতে হবে। তাদের প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা আছে। আমার খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক বড় অংশ তারা। সবসময় নিজের পরিবারের কথা আগে ভাবতে হবে…এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
“এই মুহূর্তে আমি পরিবারের কথাই ভাবব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখন অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে না। এখানে থাকলে খেলা এবং জেতা সহজ হতো। এখন সেটি পিছিয়ে গেছে। ভারতে যখন এটি হবে, তখন আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে।”
পারিপার্শ্বিক সবকিছু ভেবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান এই ওপেনার।
“আমাকে দেখতে হবে আমি নিজে কোন অবস্থায় আছি এবং আমার মেয়েদের স্কুলের কী অবস্থা। আমার সিদ্ধান্তের বড় একটা অংশ ওরা। বিষয়টা এমন না যে কবে খেলা এবং কতদিন ধরে খেলা। আমার জন্য অনেক বড় পারিবারিক সিদ্ধান্ত এটি।”
“অনেক সময়ই দেখা যায়, সফরে গেলে পরিবারের কথা অনেক মনে পড়ে। আর এখন বায়ো-সিকিউর বিষয় রয়েছে, আমরা নিজেদের পরিবার নিয়ে সব জায়গায় যেতে পারব না। এটি হয়তো অদূর ভবিষ্যতে হতে পারে।”