১০ বছরের ক্যারিয়ারে একশর বেশি টেস্ট। সাড়ে ৭ হাজার রান, ট্রিপল সেঞ্চুরি, ১৯টি টেস্ট সেঞ্চুরিতে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। কত গ্রেট বোলারকেই তো সামলেছেন মার্ক টেইলর। অথচ সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ককে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেছে এমন একজন, বোলার হিসেবে যার তেমন কোনো পরিচয়ই নেই। চন্দিকা হাথুরুসিংহে!
Published : 13 Apr 2020, 02:14 PM
অনেক গ্রেট ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই অবশ্য বিচিত্র এই ব্যাপার দেখা গেছে। বছরের পর বছর বিশ্বজুড়ে তাবত বোলারকে শাসন করেছেন যিনি, সেই শচিন টেন্ডুলকার অনেকবারই বলেছেন, তাকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন হান্সি ক্রনিয়ে। অথচ ক্রনিয়ে ছিলেন মূলত ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি করতেন কাজ চালানোর স্লো মিডিয়াম পেস।
বাংলাদেশের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহেও খেলোয়াড়ী জীবনে অনেকটা ছিলেন একইরকম। মূল কাজ ছিল ব্যাটিং, সঙ্গে করতেন জেন্টল মিডিয়াম পেস বোলিং।
নিরীহ দর্শন সেই মিডিয়াম পেসই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল টেইলরের জন্য। একটি ওয়েবসাইটে কলামে সাবেক বাঁহাতি ওপেনার লিখেছেন ২৮ বছর আগের এক সিরিজের কথা।
“সত্যি বলতে, আমি বুঝেই উঠতে পারছিলাম না, তাকে (হাথুরুসিংহে) কীভাবে খেলা উচিত। ১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলাম আমরা। ওর বল একদম শেষ মুহূর্তে আচমকা নেমে যেত।”
“সে যখন বোলিং করছিল, আমি স্রেফ কোনোরকমে পার করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। অন্য সবাই তার বোলিংকে দেখছিল রান করার সুযোগ হিসেবে। কিন্তু আমি তার সামনেই পড়ে গিয়েছিলাম যেন অথৈ সাগরে।”
২৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে হাথুরুসিংহে উইকেট নিতে পেরেছেন মোটে ১৭টি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। গোটা ক্যারিয়ারে আর কখনও ইনিংসে একাধিক উইকেট নিতে পারেননি।
তবে ওই ৪ উইকেটের মধ্যে ছিল না টেইলরের উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই টেইলরকে আউট করেছিলেন হাথুরুসিংহে।
শুধু হাথুরুসিংহেই নয়, যাদের বল খেলতে ভোগান্তি হয়েছে, এমন ১০ জন বোলারের কথা লিখেছেন টেইলর। সেখানে প্রত্যাশিতই নামই বেশি; কার্টলি অ্যামব্রোস, ওয়াসিম আকরাম, ম্যালকম মার্শাল, ইয়ান বিশপ, ড্যারেন গফ, মার্ভ হিউজ, ব্রুস রিড, পল রাইফেল ও ডেভিড মিলিগান।
শেষ নামটি অবশ্য অচেনা লাগতে পারে অনেকের কাছে। মিলিগান কখনোই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেননি। আশির দশকে এই সুইং বোলারকে গ্রেড ক্রিকেটে খেলেছিলেন টেইলর।