মাঠ সঙ্কট সমাধানে ঢাকার বাইরে নানা জায়গায় নতুন মাঠ নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে খেলার উপযোগী করে তুলবে বিসিবি। সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশালে মাঠের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে শিগগিরই।
Published : 12 Jan 2020, 10:54 PM
ক্রমবর্ধমান খেলার চাপ তো আছেই, সঙ্গে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ওপর চাপ কমাতেও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলা তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটের নানা টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে স্কুল ক্রিকেটের খেলাও হয়ে থাকে মিরপুরে। বিসিবি তাই খেলা চালানোর মতো মাঠের খোঁজ করছিল বেশ কিছু দিন থেকেই।
রোববার বিসিবির সভা শেষে মাঠ সঙ্কট সমাধানের চেষ্টায় অগ্রগতির কথা জানালেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান।
“আমাদের জন্য বড় সঙ্কট মাঠ। এই সঙ্কট এত বেশি যে ঢাকা শহরে খেলার জায়গাই নেই আমাদের। কিছু হলে এই স্টেডিয়ামের (শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম) ওপর বেশি চাপ পড়ছে। এজন্যই আমরা কাজ শুরু করেছিলাম (মাঠ খোঁজার)।”
“সিলেট স্টেডিয়ামে (আউটার) বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। সেটা শেষ হলে প্রথম শ্রেণিরসহ অনেক খেলা চালাতে পারব। বরিশাল স্টেডিয়ামে সম্প্রতি আমরা একটি সিরিজ করেছি। ওখানে আরও উন্নয়ন করে খেলা আয়োজন করব। ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। তাদের ৮টি মাঠের ২টি আমরা নিয়ে নিচ্ছি। ওখানে কাজ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটসহ আরও খেলা চালানো হবে। কেরানীগঞ্জে একটি মাঠ আমরা তৈরি করেছি, সেটায় আরও উন্নয়ন করে খেলা আয়োজন করব।”
মাঠ বাড়ানোর পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই সভায়। বিসিবি একাডেমির সাবেক কোচ রস টার্নার যে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনেক দিন আগে, সেটির অনুমোদন অবশেষে মিলেছে। বিসিবি সভাপতি জানালেন, তিন বছর মেয়াদী প্রকল্প শুরু হবে শিগগির।
“আমরা একজন পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছিলাম, রস টার্নার। তার প্রস্তাবনা ছিল কিছু। আজকের বোর্ড সভায় সেটি পাশ করা হয়েছে। তিন বছরের একটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম করবে সে।”
“সেখানে মূল মনোযোগ থাকবে আম্পায়ার, কোচ ও কিউরেটরদের শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে ওদের মান বৃদ্ধির জন্য। পাশাপাশি ডাটাবেইজড ও ডিজিটাল রিসোর্স যেগুলো আছে, সেসবের ওপর ধারাবাহিকভাবে ৩ বছর ট্রেনিং হবে। এই বছর থেকেই শুরু হবে।”