বিশ্বকাপ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরা স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার এখনও ঘরের মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ‘প্রত্যাবর্তন’ হবে দুই ক্রিকেটারের। লম্বা সময় পর নিজেদের দর্শকদের সামনে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে দুজনই বেশ রোমাঞ্চিত।
Published : 25 Oct 2019, 07:38 PM
অ্যাডিলেইডে রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামবে দুই দল। এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন স্মিথ। আর বল টেম্পারিং কাণ্ডে স্মিথের পাশাপাশি এক বছর নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর ওয়ার্নার প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।
অ্যাডিলেইডে শুক্রবার অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমকে স্মিথ জানান, স্বাগতিক দর্শকদের সামনে আবারও মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
“(সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর) বেশ অনেকদিন হয়ে গেছে। আমার শেষ ম্যাচ ছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে, যে ম্যাচটা বিরাট কোহলি আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।”
“রোববার অ্যাডিলেইড ওভালে মাঠে নামা এবং অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আবারও টি-টোয়েন্টি খেলাটা চমৎকার একটা ব্যাপার হবে....আমি বেশ নির্ভার, বেশ অনেকগুলো বল খেলেছি এবং সত্যিই ভালো অনুভব করছি। মাঠে নামার ব্যাপারে রোমাঞ্চিত এবং আশা করি একটা সফল গ্রীষ্মকালীন মৌসুম কাটাবো।”
শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলের সামনে আদর্শ প্রস্তুতির মঞ্চ তৈরি আছে বলে মনে করেন স্মিথ।
“টানা ছয়টা ম্যাচ খেলবো আমরা, বিশ্বকাপের আগে খেলবো প্রায় বিশটার মতো ম্যাচ, যেটা আমি মনে করি, খুব ভালো। খেলোয়াড়দের একসাথে কাজ করার এবং একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ।”
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর বিশ্বকাপে ভালো করলেও ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজটা ওয়ার্নারের জন্য ছিল হতাশার। ১০ ম্যাচে ৯.৫ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯৫ রান। তবে অ্যাশেজের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে বাঁহাতি এই ওপেনার তাকাচ্ছেন সামনে।
“আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে এবং নিজের সেরাটা দিতে পছন্দ করি। অবশ্যই ইংল্যান্ড (অ্যাশেজ সিরিজ) এখন অতীত। এখানে মাঠে নামা এবং যত বেশি সম্ভব রান করতে পারাটাই আমার মূল ব্যাপার।”
“নেতিবাচক ভাবনা যে কারও মনের জন্যই বেশ খারাপ একটা প্রভাবক। তাই আপনাকে সবসময় ইতিবাচক থাকতে হবে এবং (সমালোচনায়) প্রভাবিত হওয়া যাবে না।”