ব্যাটে-বলে বাংলাদেশকে নাকাল করে ছেড়েছে আফগানিস্তান। কিন্তু বৃষ্টি বাঁধায় তাদের জয় ধরা দেয়নি চতুর্থ দিনে। চট্টগ্রাম টেস্ট গড়িয়েছে শেষ দিনে।
Published : 08 Sep 2019, 09:48 AM
পঞ্চম দিনে ম্যাচ
শেষ বিকেলে বৃষ্টি এ দিন আর মাঠে গড়াতে দিল না খেলা। ম্যাচ গেল পঞ্চম দিনে। শেষ ইনিংসে ৩৯৮ রান তাড়ায় চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৩৬। বড় জয়ের পথে আফগানিস্তান।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় দিনের খেলা বাকি ছিল ১২.৪ ওভার। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যে চিত্র, তাতে ৪ উইকেট পড়ার জন্য সময় ছিল যথেষ্টই। কিন্তু বাংলাদেশকে স্বস্তি আর আফগানদের হতাশ করল বৃষ্টি।
৩৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গী সৌম্য সরকার অপেক্ষায় রানের খাতা খোলার।
বৃষ্টি বারবার বার বার বাধা দিয়েছে সকাল থেকেই। সারাদিনে খেলা হয়েছে মোটে ৫০.৫ ওভার। বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে এর মধ্যেই বড় হারের পথ খুঁজে নিয়েছে বাংলাদেশ।
কৃতিত্ব দিতে হবে আফগানদের দুর্দান্ত স্পিন বোলিংয়ের। অধিনায়ক রশিদ খানের গুগলি পড়তে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অভিজ্ঞ নবি ও অভিষিক্ত জহির খানও ভুগিয়েছেন যথেষ্টই।
এ দিনের ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে শেষ দিনে খেলা শুরু হবে আধ ঘণ্টা আগে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি ভোগাতে পারে শেষ দিনও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৩৪২ বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২০৫ আফগানিস্তান ২য় ইনিংস: ২৬০ বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৮) ৪৪.২ ওভারে ১৩৬/৬ (লিটন ৯, সাদমান ৪১, মোসাদ্দেক ১২, মুশফিক ২৩, মুমিনুল ৩, সাকিব ৩৯*, মাহমুদউল্লাহ ৭, সৌম্য ০*; ইয়ামিন ৪-১-১৪-০, নবি ১৭.২-৪-৩৮-১, রশিদ ১৩-০-৪৬-৩, জহির ১০-০-৩৬-২)। |
আবার বৃষ্টি
আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা ছিল অনেকক্ষণ থেকেই। খেলা চলছিল ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে। এক পর্যায়ে নেমে এলো বৃষ্টি। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মাঠ ছাড়লেন ক্রিকেটাররা।
রশিদের শিকার মাহমুদউল্লাহ
রশিদের গুগলি বুঝতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহও। দলকে আরও বিপদে ঠেলে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
সামনে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। চেষ্টা করেছিলেন টার্ন কাভার করতে। কিন্তু ব্যাট ঢুকল ভেতরে। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল গেল শর্ট লেগের হাতে।
রশিদের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। করতে পেরেছেন কেবল ৭ রান। বাংলাদেশকে ডাকছে বড় হার। ৩৯৮ রান তাড়ায় রান ৬ উইকেটে ১২৫।
সাদমানকে থামালেন নবি
একটা প্রান্ত আঁকড়ে রাখা ব্যাটসম্যানকেও হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নবির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন সাদমান ইসলাম।
বাঁহাতি সাদমানকে রাউন্ড দা উইকেটে অনেকটা ওয়াইড অব দা ক্রিজ অ্যাঙ্গেল থেকে বল করেছিলেন নবি। পিচ করে টার্ন করে বাইরে না বেরিয়ে অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকে। সাদমান খেলেছিলেন বল টার্ন করবে ভেবে, পা বাড়িয়েও পাননি বলের নাগাল। বল লাগে প্যাডে। আফগানদের আবেদন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
১১৪ বলে ৪১ রান করে থামল সাদমানের লড়াই। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১০৬।
চা বিরতি
এক প্রান্তে শুরু থেকে টিকে আছেন সাদমান ইসলাম। আরেক প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। সাদমানের সঙ্গী আপাতত সাকিব আল হাসান। দুজন অপরাজিত থেকে গেছেন চা-বিরতিতে।
বাংলাদেশের রান ৩৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১০২।
বেঁচে গেলেন সাকিব
সাকিবকে অল্পতে ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন রশিদ খান। কিন্তু পারলেন না আফগান অধিনায়ক।
রশিদকে ব্যাকফুটে ড্রাইভ করতে গিয়ে সোজা ফিরতি ক্যাচ দেন সাকিব। মারে জোর ছিল না তেমন। দুই হাত বাড়িয়ে নেওয়ার সময়ও ছিল। রশিদ চাইলেন এক হাতে ক্যাচটি নিতে, কিন্তু তার হাতে লেগে ছিটকে গেল বল।
সাকিব জীবন পেলেন ১১ রানে।
মুমিনুল এলেন ও গেলেন
মুশফিকের আউটের রেশ না কাটতেই আরেকটি বড় ধাক্কা। এই মাঠে যার দুর্দান্ত রেকর্ড, সেই মুমিনুল বিদায় নিলেন ৩ রানেই।
রাউন্ড দা উইকেটে করা রশিদের বল বাঁহাতি মুমিনুলেল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে বিশাল টার্ন করে ঢোকে ভেতরে। মুমিনুলের ব্যাট পায়নি বলের দেখা। এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিতে খুব ভাবতে হয়নি আম্পায়ারকে।
বৃষ্টি বাধার পরও ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়ানো নিয়েই এখন শঙ্কা। ৩৯৮ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৮২।
পাঁচে মুমিনুল
ডান ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কম্বিনেশন আর রাখতে পারল না বাংলাদেশ। এক প্রাশে বাঁহাতি ওপেনার সাদমান টিকেই আছেন। আরেক পাশে তিন ডানহাতির বিদায়ের পর দল নামাতে বাধ্য হলো বাঁহাতি মুমিনুল হককে।
২৩ ইনিংস পর চার নম্বরে নিচে ব্যাট করতে নামলেন মুমিনুল।
গেলেন মুশফিকও
দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও পারলেন না দলকে ভরসা জোগাতে। এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন রশিদ খানের বলে। পাশাপাশি বাংলাদেশ হারাল একটি রিভিউও।
নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ে মুশফিক খেলছিলেন ভালোই। রান করছিলেন অনায়াসে। কিন্তু রশিদের গুগলি হয়তো পড়তে পারেননি ঠিকমতো। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন বল টার্ন করে বেরিয়ে যাবে ভেবে। কিন্তু বল পিচ করে ঢোকে ভেতরে। ব্যাটের পাশ দিয়ে লাগে প্যাডে।
খালি চোখেই মনে হচ্ছিল নিশ্চিত আউট। মুশফিক তবু নিলেন রিভিউ। উইকেটের সঙ্গে শেষ একটি রিভিউ।
চারটি চারে ২৫ বলে ২৩ রান করে ফিরলেন মুশফিক। ৩৯৮ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৭৮।
চারে মুশফিক
ডান-বাঁহাতি কম্বিনেশনের ধারা ধরে রাখল বাংলাদেশ। ডানহাতি মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর তার জায়গায় ব্যাটিংয়ে নামলেন ডানহাতি মুশফিক। প্রথম ইনিংসে ৬ নম্বরে ব্যাট করেছিলেন মুশফিক।
শুরুটা ভালো করলেও প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে এলেন মোসাদ্দেক হোসেন। আরও বিপদে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
স্পিনে বরাবরই বেশ ভালো ব্যাটসম্যান বলে বিবেচিত মোসাদ্দেক। তিনে নেমে শুরু করেছিলেন স্বচ্ছন্দেই। কোনো অস্বস্তি ছিল না। তার পরও আচমকা তার ইচ্ছে হলো উড়িয়ে মারার!
চায়নাম্যান জহির খানের বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ধরনের। মোসাদ্দেক তুলে মারলেন। মিড অফ থেকে বলের দিকে চোখ রেখে পেছন দিকে গিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন আসগর আফগান।
১৭ বলে ১২ রান করে ফিরলেন মোসাদ্দেক। ৩৯৮ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৫২।
তিনে মোসাদ্দেক
ওপেনিংয়ের পরিবর্তনের মতো ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরেও চমক উপহার দিল বাংলাদেশ। পাঠানো হলো মোসাদ্দেক হোসেনকে।
ডানহাতি লিটনের জায়গা ডানহাতি মোসোদ্দেককে পাঠানো হতে পারে ডান-বাঁহাতির কম্বিনেশন ধরে রাখতে।
টেস্টে নিজের আগে ৫ ইনিংসের তিনটিতে সাতে ব্যাট করেছিলেন মোসাদ্দেক, দুটিতে আটে।
প্রথম ইনিংসে আটে নেমে মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে।
রিভিউ নিয়ে কট বিহাইন্ড হওয়া থেকে বেঁচে গেলেও বেশিক্ষণ টিকলেন না লিটন দাস। জহির খানের বলে ফিরে গেলেন এলবিডব্লিউ হয়ে। প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
চায়নাম্যান জহিরের বলটি অফ-মিডলে পিচ করে ভেতরে ঢোকে আরেকটু। সামনের পায়ে খেলতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু লিটন চাইলেন পেছনের পায়ে খেলতে। ঠিকমতো পড়তে পারলেন না বলের গতি, খেললেন ভুল লাইনে। খেসারত দিলেন আউট হয়ে।
৩০ বলে ৯ রান করে ফিরলেন লিটন। বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৩০।
রিভিউ টিকলেন লিটন
চায়নাম্যান জহির খানের বলে লিটনকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আম্পায়ার নাইজেল লং। লিটন রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল তার ব্যাট বা গ্লাভস, কিছুতেই লাগেনি।
খেলা শুরু
আধ ঘণ্টা বৃষ্টি-বিরতির পর আবার বাংলাদেশের লড়াই শুরু হয়েছে সাদমান ইসলাম ও লিটন দাসের ব্যাটে।
থেমেছে বৃষ্টি
এবার আর খুব লম্বা সময় বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি। সরানো হয়েছে মাঠের কাভার। নতুন করে বৃষ্টি না নামলে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে শুরু হবে খেলা।
দিনে বাকি সময়ে চেষ্টা করা হবে অন্তত ৪৮ ওভার খেলা চালানোর।
লাঞ্চের পর খেলা শুরু হতে দেরি
লাঞ্চ বিরতির সময় নামা বৃষ্টির বেগ কিছুটা কমলেও থামেনি পুরোপুরি। তাই লাঞ্চের পর নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি খেলা।
আবার বৃষ্টি
লাঞ্চ বিরতি শুরুর মিনিট দশেক পরই আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি। উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে কাভারে।
বিরতির আগে স্বস্তি
কোনো উইকেট না হারানোর স্বস্তি নিয়ে চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। ৯ ওভার খেলে বাংলাদেশের রান ৩০।
মূলত সাদমান ইসলামের সৌজন্যে বেড়েছে রান। ৩ চারে ২৭ বলে ২১ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
লিটন কয়েকটি ভালো শট খেলেছেন। খেলেছেন ঝুঁকিপূর্ণ শটও। ব্যাটের কানায় লেগে একটুর জন্য বল যায়নি স্লিপ ফিল্ডারের হাতে। এমনকি রিভার্স সুইপ করার চেষ্টাও করেছিলেন ষষ্ঠ ওভারেই!
তবে দলকে স্বস্তি দিয়ে টিকে আছেন। ২৭ বলে করেছেন ৯ রান।
ডান-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে, রান তাড়ার ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছেন লিটন দাস।
প্রথম ইনিংসে সাদমানের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন সৌম্য সরকার।
জিততে হলে করতে হবে রেকর্ড
চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে হলে রান তাড়ার নতুন ইতিহাস লিখতে হবে বাংলাদেশকে। আফগানরা লক্ষ্য দিয়েছে ৩৯৮। রান তাড়া করে জয়ের বাংলাদেশের আগের রেকর্ড কেবল ২১৫ রানের।
টেস্ট ইতিহাসের ৩৯৮ রানের চেয়ে বেশি রান তাড়ায় জয়ের নজির আছে কেবল চারটি।
দুই রানের দূরত্ব
২ রানের জন্য ফিফটি হলো না আফসার জাজাইয়ের। ২ রানের জন্য আফগানিস্তান পারল না চারশ ছোঁয়া লক্ষ্য দিতে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান বলেছিলেন, বাংলাদেশকে চারশ ছোঁয়া লক্ষ্য দিতে চান তারা। সেটির কাছাকাছি গিয়েছে তারা। বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৯৮।
প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে আউট হওয়া আফসার দ্বিতীয় ইনিংসেও সম্ভাবনা জাগিয়ে পেলেন না ফিফটি। অপরাজিত থেকে গেলেন ১১০ বলে ৪৮ রানে।
বৃষ্টির কারণে খেলা সোয়া দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তান খেলেছে ৬.৩ ওভার। যোগ করেছে আরও ২৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৩৪২ বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২০৫ আফগানিস্তান ২য় ইনিংস: ৯০.১ ওভারে ২৬০ (আগের দিন ২৩৭/৮) (আফসার ৪৮*, ইয়ামিন ৯, জহির ০*; সাকিব ১৯-৩-৫৮-৩, মিরাজ ১২.১-৩-৩৫-২, তাইজুল ২৮-৬-৮৬-২, নাঈম ১৭-২-৬১-২, মুমিনুল ১০-৬-১৩-০, মোসাদ্দেক ৪-১-৩-০)। |
অল আউট আফগানিস্তান
শেষ ব্যাটসম্যান জহির খান বিদায় নিলেন নিজের খেলা প্রথম বলেই। আফগানিস্তান অলআউট ২৬০ রানে।
চতুর্থ দিনে নিজের প্রথম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজ পেলেন সাফল্য। রাউন্ড দা উইকেটে করা বলে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন বাঁহাতি জহির খান। বল রাখতে পারেননি নিচে। সিলি পয়েন্টে ক্যাচ নেন মুমিনুল।
শূন্য রানে ফিরলেন জহির। আরেক পাশে আফসার জাজাই অপরাজিত থেকে গেলেন ৪৮ রানে।
রান আউট ইয়ামিন
রান আউট থেকে দিনের প্রথম উইকেট পেল বাংলাদেশ। দ্রুত একটি রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়ে গেলেন ইয়ামিন আহমাদজাই। ফিল্ডারের থ্রো ধরে বেশ ক্ষিপ্রতায় স্টাম্প ভেঙে দেন কিপার মুশফিক।
৯ রানে রান আউট ইয়ামিন। আফগানদের রান ৯ উইকেটে ২৬০। লিড ৩৯৭।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে দেরি হলো প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা। বৃষ্টির শঙ্কা আছে পরেও। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ইনিংস ঘোষণা করল না আফগানিস্তান। ৩৭৪ রানের লিড আরও বাড়িয়ে নিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে আফগানদের নবম জুটি।
খেলা শুরুর অপেক্ষা
সোয়া ১১টায় যখন মাঠ পরিদর্শনে নামলেন আম্পায়াররা, মেঘের আড়াল থেকে হেসে উঠল সূর্য। গুমোট ভাবটা কেটে তখন চারপাশ আলো ঝলমলে। মাঠের ভেজা জায়গাগুলোও হয়ে উঠেছে খেলার উপযোগী। আম্পায়ারদের তাই খুব বেশিক্ষণ দেখতে হলো না মাঠ। সিদ্ধান্ত জানা গেল একটু পরই। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে।
খেলা শুরুর সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে সেশনগুলোর সময়ও। লাঞ্চ বিরতি হবে দুপুর একটায়। আলো থাকলে চেষ্টা করা হবে দিনে অন্তত ৭৩ ওভার খেলা চালানোর।
সরানো হচ্ছে কাভার
সকাল সাড়ে ১০টায় মাঠ পরিদর্শন করেছেন আম্পায়াররা। মাঠের ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গাগুলো ভালো করে দেখেছেন তারা। ঘুরে দেখেছেন উইকেটের চারপাশের জায়গাগুলো। তারা মাঠ পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় উইকেটের কাভার সরানো।
মাঠের কিছু জায়গা ভেজা আছে এখনও। মাঠ পরিদর্শনের পরবর্তী সময় সকাল সোয়া ১১টায়।
থেমেছে বৃষ্টি
সকাল ১০টার একটু পর থেমেছে বৃষ্টি। এরপর শুরু হয়েছে সুপারসপার দিয়ে পিচ কাভারের ওপর থেকে পানি সরানোর কাজ। উইকেটের কাভার সরানোর প্রস্তুতিও চলছে। আর বৃষ্টি না হলে সকাল সাড়ে ১০টায় মাঠ পরিদর্শন করবেন আম্পায়াররা
আগের দিন আলোকস্বল্পতায় একটু আগে খেলা শেষ হওয়ায় চতুর্থ দিনে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০ মিনিট আগে। কিন্তু খেলা যখন শুরু হওয়ার কথা, উইকেট তখনও ঢেকে রাখা। চট্টগ্রামে চলছে মেঘ-বৃষ্টির খেলা।
শনিবার রাত থেকেই চট্টগ্রামে বৃষ্টি চলছে থেমে থেমে। রোববার সকাল থেকেও বদলায়নি চিত্র। ঢেকে রাখা হয়েছে উইকেট। ক্রিকেটাররা মাঠে এলেও বন্দি হয়ে আছেন ড্রেসিং রুমে।
বৃষ্টির বেগ অবশ্য বেশি নয়। তবে খেলা শুরু না হতে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির শঙ্কা ছিলই। শঙ্কা আছে থেমে থেমে দিনজুড়েই বৃষ্টি হওয়ার।
প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নেওয়া আফগানিস্তান তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ৮ উইকেটে ২৩৭ রান নিয়ে। এগিয়ে আছে তারা ৩৭৪ রানে। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় চলছে নিশ্চয়ই তাদের প্রার্থনা। বাংলাদেশের জন্য এই বৃষ্টি বেশ উপভোগ্যই হয়ে ওঠার কথা!