বিশ্বকাপ শেষে পেরিয়ে গেছে দেড় মাসের বেশি। কিন্তু সাকিব আল হাসানের অসাধারণ পারফরম্যান্সের ইন্দ্রজাল যেন কাটছেই না। রশিদ খান যেমন এখনও ডুবে আছেন মুগ্ধতায়। এবার সেই সাকিবকে সামলানোর চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে আবার। রশিদের আশা, টেস্টে বিশ্বকাপের ফর্মে দেখা যাবে না সাকিবকে। বাংলাদেশ অধিনায়ককে দ্রুত আউট করতে চান আফগান অধিনায়ক।
Published : 04 Sep 2019, 06:14 PM
ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এবারের বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন সাকিব। দেখিয়েছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে ৬০৬ রান করেছিলেন ৮৬.৫৭ গড়ে, বল হাতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট।
সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের আগুনে পুড়েছিল আফগানিস্তানও। সাউথ্যাম্পটনে দুই দলের ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন সাকিব ফিফটি করার পর ৫ উইকেট নিয়ে।
রশিদের স্মৃতিতে তরতাজা সেই পারফরম্যান্স। এবার টেস্টে সাকিবের মুখোমুখি হওয়ার আগে আফগান অধিনায়ক ফিরে গেলেন সাকিবের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সে। তবে তার চাওয়া, চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব যেন ফিরতে না পারেন বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে।
“আমার দেখা সেরা বিশ্বকাপ কাটিয়েছে সে। এমন বিশ্বকাপ কাটাতে কখনও কাউকে দেখিনি। ভালো বোলার ছিল সে বরাবরই। ব্যাটিংয়েও এবার দারুণ করেছে। সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে সে।”
“এখন খেলা ভিন্ন সংস্করণে। কন্ডিশন ভিন্ন। কিছুটা বিরতিও পড়েছে তার (বিশ্বকাপের পর)। আশা করি, বিশ্বকাপে যা কিছু করেছে, সেসব তার মনে পড়বে না! আমরা চেষ্টা করব, যত দ্রুত সম্ভব সাকিবকে আউট করতে।”
এমনিতে দুজনের সম্পর্ক দারুণ। আইপিএলে দুজন সতীর্থ। মাঠের বাইরে ভালো বন্ধু। তবে এই টেস্টে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের অধিনায়ক। আপাতত প্রবল প্রতিপক্ষ। বন্ধুর সঙ্গে এই লড়াই নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত রশিদ।
“দারুণ মজা হবে। আইপিএলে সানরাইজার্সের হয়ে একসঙ্গে খেলেছি আমরা। সেরা দুটি বছর কাটিয়েছে সেখানে। অনেক উপভোগ করেছি আমরা। মাঠের ভেতরে-বাইরে দারুণ সময় কাটিয়েছি। খুব ভালো বন্ধুত্ব আমাদের। তবে এখন বাস্তবতা হলো দেশের হয়ে খেলা। দেশের হয়ে শতভাগ উজার করে দেওয়া। দেশের হয়ে সবসময়ই সর্বোচ্চটা দিতে চায় সবাই।”
“দুই দলের অধিনায়ক হিসেবে পরস্পরের মুখোমুখি হওয়াটা আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর। দুজনই চাইব দেশের জন্য সবটা করতে। আমার জন্য বেশ উপভোগ্য কিছুই হবে আশা করি। চেষ্টা করব প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে।”