“কী সুন্দর রোদ উঠিছে”, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যেতে যেতে বলছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটু দাঁড়িয়ে রোদ গায়ে মাখিয়েও নিলেন। সন্ধ্যা সাতটায়ও ডাবলিনে রোদের তেজ বেশ। টানা কিছুদিন শীতে জবুথবু হয়ে থাকার পর এই গরম বেশ উপভোগ করছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। প্রথম আর দ্বিতীয় ম্যাচে তার বোলিংয়ে আকাশ-পাতাল পার্থক্যের অন্যতম কারণ নাকি আবহাওয়ার এই পার্থক্যই!
Published : 14 May 2019, 12:43 AM
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৮৪ রান খরচায় দুটি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। দলের বাকি সব বোলার সেদিন ছিলেন দুর্দান্ত, কেবল অধিনায়কের অন্যতম সেরা অস্ত্রই ছিলেন বিবর্ণ।
দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই মুস্তাফিজ ফিরলেন দুর্দান্ত চেহারায়। সোমবার আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই দলের জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। প্রথম স্পেলে ছিলেন দুর্বোধ্য, দ্বিতীয় স্পেলেও কার্যকর। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যান অব দা ম্যাচ।
দুই ম্যাচের বোলিংয়ে বদলটা কোথায় এনেছেন, প্রশ্নটা ছিল অবধারিতই। মুস্তাফিজ বোলিং নয়, বললেন আবহাওয়ার বদলের কথা।
“আমি চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশে গরম, এখানে ঠাণ্ডা। ঠাণ্ডায় আমার কষ্ট হয় খুব। আমাদের দেশে ৩২-৩৩ ডিগ্রিতে খেলে এসেছি। এখানে ৭-৮ ডিগ্রি। একটু তো কঠিনই। আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে। এখন গরম হচ্ছে একটু।”
আয়ারল্যান্ডে আসার পর সপ্তাহখানেক প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ধুঁকেছে দল। তবে গত কয়েকদিনে তা বেশ কমেছে। রোদ উঠছে নিয়মিতই, কনকনে বাতাসও কমেছে আগের চেয়ে। বাংলাদেশ দলও তাই আছে আগের চেয়ে ফুরফুরে।
মুস্তাফিজের পাশাপাশি এ দিন দারুণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশের অন্য বোলাররাও। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসানের স্পিন ছিল দুর্দান্ত। কেবল অভিষিক্ত আবু জায়েদই সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি।
মুস্তাফিজের এই বোলিং স্বস্তি দিচ্ছে দলকেও। বিশ্বকাপে যে সেরা ফর্মের মুস্তাফিজকে দলের চাই-ই চাই! বাঁহাতি পেসার নিজেও বেশ আত্মবিশ্বাসী।
“ভালো করলে আত্মবিশ্বাস সবসময় ভালো থাকারই কথা। প্রথম ম্যাচটা ভালো হয়নি, এটা ভালো হলো। বিশ্বকাপ আছে সামনে। চেষ্টা করব ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে।”